মিজানুর নিজস্ব প্রতিবেদক>>>
আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।আজ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীদের ইভিএম কারসাজি করে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন তাঁরা। পরে এই পরাজয়ের প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও সিইসির পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর। বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বলা হয়, আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে পরবর্তী কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর পতন চেয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, ‘আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের সমাবেশ হবে। আগামীকাল বিকেল ৪টার সমাবেশে আপনারা সবাই থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত শেখ হাসিনার পতন না ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবই ঘটাব ইনশা আল্লাহ।’মোছাদ্দেক বিল্লাহ আরও বলেন, ‘আমি তো ভালো মতোই জানি, আমি বাড়িতেই ছিলাম। সব জায়গা ঘুরে দেখেছি। ওই যে নৌকার ৮৭ হাজার ভোট দেখিয়েছে, সেটা হাতপাখার ভোট। ৩৪ হাজার ভোট হচ্ছে নৌকার ভোট। ওখানে আসলে নৌকা পাস করেনি, ওখানে হাতপাখা পাস করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের কতজন লোক আছে, সেটা আমরা জানি। সবাই বলেছে নৌকা ঠেকাও হাতপাখা দিতাম।’বিক্ষোভ সমাবেশে আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে বলে জানান দলটির নেতারা। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, শুধু বরিশাল আওয়ামী লীগ নয়, সরকার ও সারা দেশের আওয়ামী লীগ এই হামলায় জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এই ধরনের পাতানো নির্বাচনে জড়িত।
মন্তব্য