আব্দুল্লাহ আল মারুফ চট্টগ্রাম >>> চট্টগ্রাম মহানগরীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে মো. ইমন নামে এক যুবক হত্যার ঘটনায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন নগর স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও কৃষক দলের তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।বহিষ্কারকৃত নেতারা হলেন নগরের পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজ ও তার ভাই নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং কৃষক দল নগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম।৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকার্ত পরিবারসহ এলাকাবাসী। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১১টার দিকে নিহত বিএনপি নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। বুকফাটা আর্তনাদ করছেন ভাই হারা তার ৬ বোন। দুই দিন আগেও যাদের সুখ দুঃখের খবর নিয়েছিলেন ভাই নূর আলম। বোনের হাতে লোপনায় খেয়েছেন ভাত।নিহত বিএনপির নেতার বোন গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে দেখেছি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভালো মানুষ কিন্তু রাতে লাশ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নূর আলম। তার দাবি দোকানের মালামাল লুটে বাঁধা দেন তার ভাই। এতে রাতের আঁধারে মাথায় আঘাত করেন ২০ জন আওয়ামী সন্ত্রাস। তবে তারা নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টা পায়তারা করছে ।এবিষয়ে নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী জানান,দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মাইয়া সাইফুলকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বায়েজিদ থানার শান্তিনগর এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় মোহাম্মদ ইমন (২৮) নামের এক যুবক গুরুত্বর আহত হন। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় শনিবার বায়েজিদ থানার পুলিশ বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সবুজ ও কৃষক দল নেতা শাহ আলমের অনুসারীদের মধ্যেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য