নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বরিশাল-৫ আসনে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করতে সভা করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এই আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত, স্বতন্ত্রভাবে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। নেতাকর্মীদের দাবির মুখে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বিশাল শোডাউন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও। তিনি পাঁচবার সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।এদিকে নোয়াখালী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে ফের মনোনয়ন দেওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ। তারা মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নেতাকর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ তুলেছেন।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও না পাওয়ায় গাজীপুর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এবং গাজীপুর-৫ আসনে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন।অপরদিকে লালমনিরহাট-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক। রাজশাহী-১ আসনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী নির্বাচন করবেন। রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের বিপক্ষে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু এবং তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া।সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ জন প্রার্থী থাকলেও বর্তমান এমপি আব্দুল আজিজকে ফের মনোনয়ন দেওয়ায় দলের বড় একটি অংশ ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ। আজিজের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। এমপি হওয়ার পর থেকে তার ভাই ও ভাগ্নেরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
মন্তব্য