আনোয়ারুল আজিম চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি>>> নোয়াখালীর চাটখিলে পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডারদের সম্পদ কুক্ষিগত করে হাসপাতাল দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালটির ১৮ জন পরিচালক ও ৪০০ জন শেয়ারহোল্ডারের বেশিরভাগকেই হাসপাতালটির মালিকানা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং হচ্ছে।হাসপাতালটির চেয়ারম্যানকে পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।অভিযুক্ত এই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম মো. সোহাগ।তিনি চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল প্রাইভেট নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে চাটখিল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিচালকবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগগুলো তুলে ধরেন।সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ভিপি মিজানসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. সাইফুল্লাহ মানিক অভিযোগ করে বলেন,’২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আমাদের মালিকানাধীন হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার ৩ বছর পরে অভিযুক্ত মো. সোহাগকে তার বারবার অনুরোধের প্রেক্ষিতে শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) করা হয়। এমডি হবার পর সে ৫ জন পরিচালককে মূল টাকা নিয়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য করার পাশাপাশি অনেক শেয়ার হোল্ডারদেরকে লোকসানের ভয় দেখিয়ে মূল টাকা নিয়ে সরে যেতে বাধ্য করেন।’তিনি আরো বলেন,’প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনে হিসেব চাওয়ার কারণে সে আমাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো।যারা আমার সাথে ছিলো, তাদেরকেও সে হুমকি দেয়।অভিযুক্ত মো. সোহাগ সমাধানের জন্য স্থানীয় কাউকে তোয়াক্কা না করায় ২১ এপ্রিল এই বিষয়ে আমরা কোর্টে মামলা করি।সোহাগ তার অপকর্ম ঢাকতে পরের দিন আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে।আমাকে আরো ১৫টি মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।’হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ভিপি মিজান বলেন,’আমি যে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান এটাই তারা এখন আর মানতে চাইছেন না।আমাদের হাসপাতালকে সোহাগ তার নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে।অথচ পরিচালক আর শেয়ারহোল্ডারদের বহু ত্যাগ তিতিক্ষায় গড়ে উঠেছে হাসপাতালটি।’
মন্তব্য