২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
রাজবাড়ীতে দিনের বেলায় মসজিদের আইপিএস ব্যাটারি চুরি সাতকানিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান বাকলিয়ায় আটক জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়ের হত্যার প্রতিবাদে ফুলবাড়ী কলেজ শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ গ্রামে গ্রামে বিএনপির ৩১ দফার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তরুণ কর্মীরা লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এনপিপির ধানের শীষের মিছিল টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত সখিপুরের আবুল কালাম ভূইয়া লালমনিরহাটে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন পরানপুর ন্যাশন্স চাইনিজবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত বাঘায় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চলছে ইলিশ ধরার উৎসব খালেদা জিয়ার নামে মামলা করা আ.লীগ নেতা এখন জুলাই যোদ্ধা গেজেট বাতিল সহ আইনের আওতায় আনার দাবী সাধারণ মানুষের
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> সুনামগঞ্জ
  • সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছের সাথে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে ৪ বখাটের গণধর্ষন
  • সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছের সাথে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে ৪ বখাটের গণধর্ষন

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি>>> সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে প্রেমিককে গাছের সাথে বেধেঁ রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষন করেছে ৪ বখাটে।ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার ভোর রাতে। ধর্ষনকারীগণ হচ্ছেন জালালপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে আফসার উদ্দিন(৩৫),মৃত ময়না মিয়ার ছেলে ফজলুল বারি(৪৫),হায়াত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩০) ও পাশ্ববর্তী কামারগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুল করিম(৩৫)।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের সড়কপাড় গ্রামের মোঃ সুরুজ আলীর ছেলে প্রেমিক নুরুজ্জামান(২৩) প্রায় একবছর ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মবাজার মালঞ্চপুর গ্রামে রাজমিত্রির কাজ করে আসছিলেন । সেই সুবাধে ধর্মবাজার মালঞ্চপুর গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে মুক্তা বেগমের(২৭) এর সাথে পরিচয় রাজমিত্রি নুরুজ্জহামানের । সেই সুবাধে প্রেমিক নুরুজ্জামান ও মুক্তা বেগমের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়।একপর্যায়ে সর্ম্পকটা গভীরে চলে যায়। পরবর্তীতে প্রেমিক প্রেমিকা যুগল ঘর বাধাঁর স্বপ্নেঁ বিভোর হয়ে গত ৮ মার্চ রোজ শুক্রবার প্রেমিকের হাত ধরে পাড়ি জমান প্রেমিকের বাড়ি বিশ্বম্ভপুরের পলাশ ইউনিয়নের সড়কপাড় গ্রামে আসার কথা থাকলে ও শেষ পর্যন্ত তারা প্রেমিকের বাড়িতে না গিয়ে চলে যেতে চাইছিলেন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামে প্রেমিকেরবন্ধুর বাড়িতে। কিন্তু প্রেমিক যুগল তারা দুজন মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর খেলাঘাটে রাত ১২টায় এসে পৌছান। পরবর্তীতে ধর্ষনকারী চারজনের মধ্যে সিএনজির চালক মোঃ আব্দুল করিমের সিএনজিতে করে জালালপুর গ্রামে আসেন। ঐ চালকের সিএনজিতে গ্যাস নেই অজুহাতে চালক ফোন করেন আরো তিন ধর্ষনকারীকে।এই চার ধর্ষনকারীরা মিলে প্রেমিক যুগলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জালালপুর গ্নিয়ে আসেন। এখানে এসে অপর ধর্ষনকারী ফজলুল বারির বসতঘরের ভেতরে নিয়ে প্রেমিক নুরুজ্জামানকে ঘরের বাহিরে গাছের সাথে বেধেঁ রেখে নামাংঙ্কিত চার বখাটে মুক্তা বেগমকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।ভোর ৪টায় ঐ সিএনজিতে করে ধর্ষনকারীরা প্রেমিক যুগলকে স্থানীয় আমাবাড়ি বাজারের পাশে হাজারীগাওঁ রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।এ সময় ধর্ষনকারীরা প্রেমিক যুগলের দুটি এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোন ও নগদ আট হাজার টাকা,এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে প্রেমিকের বন্ধু একই ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে আফাজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এলাকাবাসিকে বিষয়টি অবহিত করেন।পরে স্থানীয় মান্নানগাঁও ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সাব্বির আহমদ ও মান্নারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালিশ ব্যাক্তিত্ব অসিত কুমার দাস ঘটনাস্থলে এসে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করলে শনিবার সন্ধ্যায় ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এ এস পি (সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক,থানার ওসি মোঃ বদরুল হাসান,ওসি(তদন্ত) শামছুদ্দিন খানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসেন এবং এলাকার সাধারন মানুষসহ প্রেমিক যুগলের সাথে কথা বলেন। রাত ৮টায় পুলিশ প্রেমিক যুগলকে দোয়ারাবাজার থানায় নিয়ে যান।খবর পেয়ে এলাকার সাধারন উৎসুক জনতার ভিড় জমে আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে।এদিকে চারও ধর্ষনকারী ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।এ ব্যাপারে মান্নারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত নির্বাচনে নৌকার মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অসিত কুমার দাস সাংবাদিককের জানান,এই জালালপুর গ্রামে মাদক ব্যবসা,সেবন,জুয়া খেলা থেকে ধরে এমন কোন অপকর্ম নেই যা হয়না।তিনি এই চার ধর্ষনকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।এ ব্যাপারে মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাব্বির আহমদ গণধর্ষনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সকল ধর্ষনকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।এ ব্যাপারে ছাতক ও দোয়ারাবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এ এস পি(সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান,বিষয়টি শোনে ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।তবে আগামীকাল রবিবার(১০ মার্চ) মুক্তা বেগমকে হাসাপাতালে পাঠানো হবে এবং মেডিকেল চেকাপ করানোর পর রির্পোটে ধর্ষনে আলামত পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি০৯.০৩.২০২৪

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page