সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি>>> গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্য বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি(হা ডু ডু) খেলার ঐতিহ্য গ্রামের মধ্যে সম্প্রীতি আর ভালবাসার মেলবন্ধন মেলাতে গত ৫০ বছর পর সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের বগুলারকাড়া গ্রামের প্রাইমারী স্কুল মাঠে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় দাওয়াতী উৎসব কাবাডি (হাডুডু) খেলার ।এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫০টি কাবাডির দলের খেলায়াররা অংশ নেয়।দেশের জাতীর খেলাকে টিকিয়ে রাখতে ও যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে খেলায় আগ্রহী করে তুলার পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের সাথে সৌহার্ধ্য বাড়াতে প্রতিবছর এমন দাওয়াতী উৎসবের মাধম্যে কাবাডি খেলার প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়ে থাকে । গ্রামবাংলার প্রাচীনতম ঐহিত্যা কাবাডি (হাডুডু) খেলা আমাদের দেশের জাতীয় খেলা হলেও এখন অনেকটাই কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে।এমন আয়োজন সচরাচর দেখা যায়না। তবে গত ৫০ বছর পরে হলেও শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া গ্রামাবাসীর আয়োজনে এ খেলার পূরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রতিবছরের মতো এবারও মূলত ফেনী,চট্রগ্রাম,কুমিল্লা,মৌলভীবাজার,হবিগঞ্জসহ দেশের ১২টি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় (অর্থ উত্তোলনের)সাহার্য্যরে লক্ষ্যে এই সময়টাতে এই খেলার আয়োজন করেছেন শান্তিগঞ্জের বগুলারকাড়া এবং ছাতকের চানঁপুর এই দুই গ্রামবাসীর যৌথ আয়োজনে এই দাওয়াতী কাবাডি (হা ডু ডু) প্রতিযোগীতা।রবিবার (২৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের বগুলারকাড়া গ্রামের স্কুলের মাঠে শান্তিগঞ্জ বনাম ছাতক উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার ৫০টি কাবাডি দল এ উৎসবে অংশগ্রহন করে।এতে কাবাডিপ্রেমী হাজারো লোকজন জড়ো হন খেলা দেখতে।বিশেষ করে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জ এর মানুষ বছরের ছয়মাস কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে এখন বর্ষার মৌসুমে অনেকটাই বেকারহীন মানুষজন কাবাডি খেলার আনন্দ উপভোগ করতেই ব্যস্ত। এ উৎসবের অন্যতম দিক হলো খেলায় অংশ নিতে শনিবার বিকেল থেকে আসা বিভিন্ উপজেলার প্রায় ৬০০ খেলোয়ার বগুলারকাড়া গ্রামে আসেন আর তাদের অতিথিদের আপ্যায়ন করতে স্বেচ্চায় গ্রামের প্রতিটি পরিবারের লোকজন । প্রতিযোগতিা উপলক্ষে পুরো গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।এলাকাবাসিরা জানান এ খেলার ঐহিত্য ধরে রাখতে প্রতিবছর তাদের গ্রামে এ উৎসব করা হয়ে থাকে। তাদের বংশ পরমপরায় তাদের পূর্বপুরুষদের রীতি ধরে রাখতেই মূলত এ খেলার আয়োজন করে থাকেন।খেলায় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য(রেফারী) ও সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি ওবায়দুর রহমান কুবাদ,বগুলার কাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান ও কমিটির সদস্য এডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন,আয়োজক কমিটির সভাপতি নুরুল আমীন,সাধারন সম্পাদক সুজন আহমদ,শান্তিগঞ্জ অটোরাইছ মিল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ-রোকনুজ্জামান রুকন,পরিচালক জুলাল মিয়া,উকিল আলী,সৈয়দুর রহমান,বাবলু,সায়েফ মিয়া,এনাম মিয়া,আজরি মিয়া,আহমদ আলী,ছাতক উপজেলার চানঁপুর গ্রামের আক্কল আলী মেম্বার,রুহেল মিয়া,আফসার উদ্দিন,আফজাল হোসেন,সমরু মিয়া শরীফ উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানিআব্দুল বাছিত সুজন,সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সবাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,আর টিভির প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার ও নাগরিক টিভির প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা ও খেলোয়ার জানান,এই কাবাডি খেলা হচ্ছে গ্রামবাংলার প্রাচীনতম খেলা।এই খেলাটি দেশের বিভিন্ন জায়গাতে সচরাচর চোখে পড়েনা।তা্ি এই খেলাটিকে ধরে রাখতে এবং যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এই খেলাটি বগুলার কাড়া গ্রামের মাছে ৫০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।আয়োজক কমিটির সদস্য ও রেফারী ওবায়দুর রহমান কুবাদ বলেন,আগষ্ট মাসে মূলত এই জনপ্রিয় খেলাটি আয়োজনের মূল কারণটি হচ্ছে দেশের ফেনী,চট্রগ্রাম,কুমিল্লাসহ ১২টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় মানুষজন বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ রয়েছেন।এই বন্যার্ত মানুষজনের পাশে দাড়াতে মূলত আজকে অর্থ সহায়তার চেষ্টা করা হচ্ছে।বগুলার আয়োজন কমিরি সদস্য এডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন, বলেন,হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে কোন শিল্প এলাকা গড়ে উঠেনি।ফলে বর্ষার মৌসুমে আমাদেও হাওরপাড়ের লোকজন বেকার অলস সময় কাটান।এই কাবাডি খেলাটি এই অঞ্চলে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা।তা্ি এই খেলাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদেও বগুলারকাড়া গ্রামবাসি গত ৫০ বছর ধরে কেলার আয়োজন করে আসছেন।কাবাডি খেলার ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি হাওর এলকার গ্রামের মানুষের মধ্যে ভালবাসার মেলবন্ধন ধরে রাখতে এমন আযোজন জানালেন আয়োজকরা।তবে সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেলে এই জনপ্রিয় খেলাটি তৃণমূলের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
মন্তব্য