লোহাগাড়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি>>> চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন চালু হলেও চালু হয়নি লোহাগাড়া রেল স্টেশন সহ স্টেশনে যাতায়াতের সড়কটি। লোহাগাড়া রেল স্টেশনে যাতায়াতের দুটি সংযোগ সড়কের কাজ চলমান আছে। এই সড়কটি আরসিআইপি এর আওতাধীন আধুনগর খান হাট থেকে চুনতি হাজির রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।এই সড়কটির টিকাদারি প্রতিষ্ঠান বান্দরবান জেলার ঠিকাদার ইউ টি মং। জানাযায় তিনি নিজে সড়কটির কাজ পরিচালনা না করে লোহাগাড়ার স্থানীয় টিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় টিকাদাররা নিজেদের ইচ্ছে মতো নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ করতে থাকে। এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ সড়কটির নির্মাণ কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময় অনিয়মের অভিযোগ তুলেন। তারপরও তাঁরা জনসাধারণের কোন বাধা’কে তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যায়।এছাড়াও সড়কের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারায় গত ৩১ মে ২০২৪ ইং মধ্যে সমাপ্তকৃত কাজের পরিমাপ করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন পরবর্তী ৭ দিবসে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার কে আহবায়ক ও উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনীর কে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি গঠন করা হয়।তাঁদেরকে সড়কের বাকি অংশটুকুর কাজ না করার জন্য বলা হলেও। তারা নিষেধাজ্ঞাকে কোনধরনের তোয়াক্কা না করে নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এধরণের নিম্ন মানের কাজ হলে সড়কটি এক বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাবে। এবং রেল যাত্রীদের সহ স্থানীয় এলাকাবাসীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। তাই তাঁরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যেন যথাযথ বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত করা হয়।অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ঠিকাদার দিপু পাল এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।লোহাগাড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল মুহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বের ঠিকাদারকে কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে রাস্তায় তাঁদের কাজ করার কোন রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও তাঁরা যদি কাজ করে কাজের বিল পাবেনা। এবং এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
মন্তব্য