নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি>>> কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আওয়ামীলীগ পরিবারের আনোয়ার হোসেনের অপকর্ম, দৌরাত্ম্য বন্ধে ও তার নেতৃত্ব একাধিক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগীদের আয়োজিত মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকসহ তিন ভুক্তভোগীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।সোমবার (২৮ নভেম্বর) চর ভূরুঙ্গামারীর হুচারবালা গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র কথিত সাংবাদিক ভুয়া নিউজ পেইজ ক্রাইম তালাশ প্রতিদিনের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনালে এ মামলা করে।মামলায় যে দুই সাংবাদিক আসামি হলেন- এশিয়ান টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা উত্তর প্রতিনিধি ও দৈনিক দিনকাল এবং চাঁদনী বাজারের নাগেশ্বরী উপজেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম শফি, দিগন্ত টেলিভিশনের সাবেক নিউজরুম সহকর্মী ও দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ এবং আনন্দবাজারের নাগেশ্বরী উপজেলা প্রতিনিধি বাবুল জামান।মামলার আর্জিতে ঘটনায় প্রকাশিত মানববন্ধনের সংবাদতে সম্মানহানিকর বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে দাবি করে এদুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বাদীর সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদটি এডিটিং করে তা ডিজিটাল ডিভাইসের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।উল্লেখ্য গত ৯ নভেম্বর (শনিবার) বিকেলে ভূরুঙ্গামারীর পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কুড়ারপাড় বাজারে সচেতন সমাজ ও ভুক্তভোগী পরিবারের আহ্বানে প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষের ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মানববন্ধনের ব্যনারে মামলার দালাল ও মামলাবাজ আনোয়ার হোসেনের অপকর্ম, দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবি তুলে ভুক্তভোগী আব্দুস ছাত্তারের নামে ছেলে মানুষ অপহরণ, ধর্ষণ চেষ্টা ও চুরির মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী। পরে ১০ ও ১১ নভেম্বর এশিয়ান টেলিভিশনসহ দৈনিক চাঁদনী বাজার এবং দৈনিক আনন্দবাজার-এ ভূরুঙ্গামারীতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শিরোনামে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়।এঘটনায় ভুক্তভোগীসহ দুই সাংবাদিকের নামে মামলা করার কারণে সাংবাদিক মহল ও সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।আর ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।এবিষয়ে সাংবাদিক বাবুল জামান বলেন, মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকের কলম কখনও থামিয়ে রাখা যায়নি আর যাবেও না।সাংবাদিক হিসেবে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো বলে জানান সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফি।অন্যদিকে একাধিক বার ফোন করেও মামলার বাদী আনোয়ার হোসেনের ফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য