মোঃ সজিব উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা >>>
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে ১হাজার ৬৭১ ভোটের ব্যবধানে টেবিল ফ্যান প্রতীকের সাখাওয়াত হোসেনকে পরাজিত করেন।মোট ১০টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পেয়েছেন ৫ হাজার ৩১০ভোট এবং নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ফ্যান প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৩৯ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী ৩ হাজার ৩১৯ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ২ হাজার২০৬ ভোট, রজনীগন্ধা প্রতীকের প্রার্থী ২হাজার ১৭৬ ভোট, চশমা প্রতীকের প্রার্থী ৯৮৩ ভোট, অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী ৪২১ভোট, মোটরসাইকেল প্রথীকের ২৬২ ভোট পেয়েছেন। সর্বমোট ১৮ হাজার ৮৩৮ পোল হয়েছে এর মধ্যে বৈধ ১৮হাজার ৩১৬ভোট আর অবৈধ ৫২২ভোট।
সাধারণ সদস্য হলেন যারা, ১নং ওয়ার্ডে ৬০৭ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নুর ইসলাম, তার নিকটতম টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সাইদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫২২ভোট। ২নং ওয়ার্ডে ৬৩১ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আতিয়ার রহমান, তার নিকটতম মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৬১৪ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে ৫৭৪ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম, তার নিকটতম ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আলাউদ্দিন পেয়েছেন ৫২২ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে ৬৮৪ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম, তার নিকটতম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৬২ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে ১হাজার ৬৭ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম, তার নিকটতম মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান পেয়েছেন ১হাজার ১২ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে ৫৮২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ হাবিল, তার নিকটতম মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ছমির হোসেন পেয়েছেন ৩৯৮ভোট। ৭ওয়ার্ডে ৪০৭ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মহাসীন আলি, তার নিকটতম ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৯৪ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে ১হাজার ২৫৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, তার নিকটতম তালা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ দুরুদ আলী পেয়েছেন ৮৯৫ ভোট। ৯ওয়ার্ডে ৫৭০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মিন্টু মিয়া, তার নিকটতম ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪৪৪ভোট।
সংরক্ষিক মহিলা সদস্য হয়েছেন যারা, ১নং (১,২,৩) ওয়ার্ডে ২হাজার ৯৭৫ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সূর্যমুখী প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ কাজল রেখা, তার নিকটতম বক প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ মিনুআরা খাতুন পেয়েছেন ৯৫৭ভোট। ২নং(৪,৫,৬) ওয়ার্ডে ৪হাজার ৫৭২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ নাসিমা খাতুন, তার নিকটতম বক প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ পেয়ারা বেগম পেয়েছেন ১হাজার ২৯৪ভোট। ৩নং(৭,৮,৯)ওয়ার্ডে ২হাজার ৬৮২ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সূর্যমুখী প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ আছিয়া খাতুন, তার নিকটতম মাইক প্রতীকের প্রার্থী মোছাঃ শাহিদা খাতুন পেয়েছেন ২হাজার ৫০৫ভোট।
গতকাল ভোটের মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তবে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে সেটি সফল করতে পারেনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
এ বিষয়ে কুলতলা কমিনিউটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র কথা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ মুক্তার আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বেলা ২টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন তিনবার কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করেছে। তার সব কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে। ভোটের পরিস্থতি বেশি ভালো না।’ তবে কুলতলা কমিনিউটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জামিল আক্তার বলেন, একটি পক্ষ একবার কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছিল। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করেছি। ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। বেলা ১টা পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রায় সব কেন্দ্র বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্রে বেশি ঝামেলা হয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মীর্জা হাকিবুর রহমান লিটন।জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজর আহাম্মেদ জানান, উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে কোন ধরণের অর্পিতকার ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন অবাধ্য সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটারদের ৮০-৮২ শতাংশ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য