আব্দুল্লাহ আল মারুফ চট্টগ্রাম>>> ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং পিকে গ্রুপের প্রধান মোঃ সোহেল সহ ০৩ জন সক্রিয় সদস্য’কে ধারালো অস্ত্র সহ জেলার সার্কিট হাউজ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।রবিবার (২ জুন) ফেনী জেলার সার্কিট হাউস এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।গ্রেফতার কি তোরা হলেন মোঃ সোহেল (২০) ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার আহম্মদপুর এলাকার – মৃত রুহুল আমিন’র পুত্র।মোঃ ইয়াসিন (২০)একই জেলার দক্ষিন কাশিমপুর এলাকার – বেলাল হোসেনের পুত্র।মোঃ বেলাল উদ্দিন নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর,জেলা-নোয়াখালীদের আটক করতে সপুর্বচরবাটা এলাকার -ফজলুল হকের ছেলে।চট্টগ্রাম র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার আজ সকাল দশটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান,র্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফেনী জেলার সার্কিট হাউজ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ২০১৫ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে “PK” নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান,আসামি ১।মোঃ সোহেল (২০) মোঃ ইয়াসিন (২০)মোঃ বেলাল কে আটক করতে সক্ষম হয়।পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের দেহ তল্লাশি করে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ০২ টি ধারালো স্টিলের চাকু উদ্ধার সহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায় যে,তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ফেনী রেলস্টেশন এবং সার্কিট হাউজ এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি,ডাকাতি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।“PK” কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ফেনী জেলার রেলস্টেশন,বাসস্ট্যান্ড এবং সার্কিট হাউজ এলাকা সহ বিভিন্ন গলি ও রাস্তায় ডাকাতি,ছিনতাই,চাঁদাবাজি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়।এছাড়াও তারা সাধারণ মানুষ সহ দৈনন্দিন চলাচলরত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার,মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে আসছিল বলে অকপটে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য