বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর>>> ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আনোয়ার মুন্সির বিবাহিত মেয়ে শাহারা আক্তার ওরফে সপ্নার করা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও সাংবাদিক।গত – ০১/০১/২০২৩ ইংরেজি ভুয়া নিকাহনামা বানিয়ে ও একই তারিখে নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের বিবাহের হলফনামা বানিয়ে ১৫/১২/২০২৩ তারিখ মোকদ্দমাঃ ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ফরিদপুর মামলা করেন। মামলা নং নগরকান্দা সি আর -৩২০ /২৩।এছাড়া ২৫/১২/২০২৩ তারিখে ঘটনা সাজিয়ে ফরিদপুর আদালত মোকদ্দমাঃ ফৌজঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৭(সি) ধারা মিথ্যা মামলা করেন।মামলার আসামী করা হয় উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের মৃত শামসুল হক তারা মাতুব্বর এর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান ও তার ভাই সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান সহ প্রতিবেশীর নামে।আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে মামলার বাদী সহ প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।মামলা নং নগরকান্দা সি আর ১২/২৪। মামলাটি সিআইডির তদন্তনাধীন রয়েছে।ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদীর এলাকা চরযশোরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে এবিষয় নিয়ে লিখত অভিযোগ করেন।আদালতে মামলা করার পর আবারও ১৩/০৩/২০২৪ তারিখে মিথ্যা নির্যাতন মারপিটের ঘটনা সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তির নাটক করে মোকদ্দমাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী (০৩) এর ১১ (গ) /৩০ ধারা আদালতে মামলা করেন।মামলা নং ৬৬/২০২৪।মামলার আসামী ১।শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান (৪৫),২।মিজানুর রহমান (৪৫),উভয় পিতা শামচুল হক মিয়া,৩।শিক্ষকের স্ত্রী মোসাঃ সাবানা বেগম(৩৫), প্রতিবেশী আবদুস সোবহান মিয়া (৬৫)।বাদীর করা পুর্বের মামলায় স্বাক্ষী বাদীর পিতা,মাতা,বোন,ও একই এলাকার বাদীর মেয়ে জামাই বর্তমান মামলার স্বাক্ষী।মামলার বাদী শাহারা ওরফে স্বপ্নার এলাকার লোকজন জানান মামলার বাদী ভয়ংকর নারী একাধিক বিয়ে হয়েছে তৃতীয় স্বামীর ঘরে একটি মেয়ে আছে তারপর বর্মান চতুর্থ স্বামীর বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে।স্বামী ব্যাটালীয়ান আনসারের চাকরি করে ঢাকা পাসপোর্ট অফিসের সামনে।ঢাকায় স্বামীর সংসার করা অবস্থায়ও সেই স্বামীর নামে নারী নির্যাতন মামলা করেন।মামলা চলমান।শাহারার স্বামী ব্যাটালীয়ান আনসার পারভেজ বলেন আমাকে ব্লাকমেইলিং করে ফাসিয়ে বিয়ে করে শাহারা ওরফে স্বপ্না এর আগে একাধিক বিয়েও হয়েছে তার।এখন আমার নামেও মামলা করেছে মামলা চলমান। এছাড়া শাহারা ওরফে স্বপ্নার পরিবারের লোকজনই বাজে।ভুক্তভোগী মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান বলেন আমার স্ত্রী,সন্তান আছে তাকে বিয়ে করার কোন প্রশ্রই উঠেনা বাদীর আপন ফুপাতো ভাই আমার প্রতিবেশী কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর সাথে টাকাপয়সা লেনদেন করার বিষয় নিয়ে মামলা করি আদালত আমার পক্ষে রায় দেয়।কিছু টাকা আদালতে জমা দিয়ার পর থেকেই এই কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম হেমায়েত তার মামাতো বোন শাহারা আক্তার ওরফে সপ্না কে দিয়ে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন এবং আমার মানসম্মান নষ্ট করছেন।ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান বলেন,লস্কারদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম হেমায়েত নিজ এলাকায় না থেকে ফরিদপুর জেলা সদরে বাসা ভাড়া করে কোট চত্বরে অফিস নিয়ে সেখানে বসে নানা অনিয়ম করায় এবং ইউনিয়নে কন্যাদায়গ্রস্হ পরিবারদের হয়রানির অভিযোগে কাজী মৌলবির নামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি যে কারনে কাজী মৌলবি ও তার মামাতো বোন শাহারা আক্তার ওরফে সপ্নাকে দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। এছাড়া প্রশাসনিক দপ্তরে মনগড়া দরখাস্ত করে ভোগান্তি করছে।লস্কারদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম এলাকায় না থাকায় ও তার ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।মামলার বাদী শাহারা আক্তার ওরফে সপ্না এলাকায় না থাকায় ও তার ফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।
মিজানুর রহমান
০১৮৩২১১৯৬৭৭
২০ মার্চ ২০২৪
মন্তব্য