মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর>>> ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফুকরা গ্রামের ওসমান মুন্সির ছেলে হাফেজ সায়েম মুন্সির বাড়িতে বিয়ের দাবীতে গুলাপি নামে এক নারী অবস্থান করছে বলে স্হানীয় লোকজন জানান।এক সন্তানের জননী চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার হরি হর নগর গ্রামের গোলাম মন্ডলের মেয়ে গোলাপির সাথে ফেসবুক – ইমোতে প্রেমের সম্পর্ক হয় সালথা উপজেলার ফুকরা গ্রামের ওসমান মুন্সির ছেলে হাফেজ সায়েম মুন্সির সাথে।স্বামীর ঘর ভেঙ্গে প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রায় এক বছর ধরে সিয়ামের সাথে ঘর সংসার করছে।চাকরির সুবাদে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর শরীয়তপুর বর্তমানে ফরিদপুর ভাটি কানাইপুরে বাসা ভাড়া করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে সংসার করছেন বলে ভুক্তভোগী গোলাপি বলেন।এদিকে বিষয়টি গোপন রেখে সায়েম মুন্সির পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে এক কনে কে নাক ফুল পরিয়েছে বলে জানা যায়।সোমবার নাক ফুল পরিয়ে মঙ্গলবার দুপুর বাড়ি থেকে হাফেজ সায়েম মুন্সি চাকরির স্হানে যাওয়ার নাম করে ছুটে যায় গোলাপির কাছে।এরই মধ্যেই সায়েমের মায়ের ফোনে বাসায় না ঢুকে কানাইপুর বাজার থেকে ফিরে আসেন সায়েম।এদিকে গোলাপী হাফেজ সায়েমের ভাবমূর্তিতে সন্দেহ হয়ে নিজেই ছুটে আসেন সায়েমের দেয়া ঠিকানা ফুকরা গ্রামে।খুঁজে বের করেন ওসমান মুন্সির বাড়ি।হঠাৎ নারীর আগমনে খবর পেয়ে নারীকে দেখতে মুহুর্তে ছুটে আসে গ্রামের শত মানুষ।খবর পেয়ে ঘটনা স্থল ওসমান মুন্সির বাড়িতে ছুটে যায় স্হানীয় সংবাদ কর্মী।বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষে বিয়ে করতে বাধ্য হয় হাফেজ সিয়াম মুন্সি।ঘটনার রাতেই ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করেন গোলাপি কে।বিয়ে করে পাপ ঢাকলেও নানান মুখে নানান বাক্য প্রকাশ পায়।ভুক্তভোগী নারী গোলাপি বলেন, ফেসবুকে পরিচয় হয় হাফেজ সিয়াম মুন্সির সাথে।সব কিছু খুলে বলার পরও আমাকে বিয়ে না করতে পালে সে মারা যাবে।প্রায় ১ বছর হয় সে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে আমাকে রাখে।বিয়ে করবে করবে বলে আজও বিয়ে না করে স্ত্রী হিসাবে মেলামেশা করে আসছে।আজ তার ঠিকানায় তাদের বাড়িতে আসি।সে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।এবিষয় হাফেজ সিয়াম মুন্সির পরিবারের লোকজন জানান এখন বিয়ে ছাড়া উপায় নাই রাতেই আমরা বিয়ে দিয়ে দিব।
মিজানুর রহমান
০১৮৩২১১৯৬৭৭
১৭ এপ্রিল ২০২৪
মন্তব্য