মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় অংশ নিয়েছে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. হাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাস ভবন গনভবনে আয়োজিত সভায় তারা অংশ নেন। এদিকে জনপ্রিয় এই দুই নেতা বর্ধিত সভায় অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস দেখা গেছে। ২০১৯ সালে পটুয়াখালী অওয়ামীলীগ নেতা ও তৎকালীন চেম্বার অব কামার্স সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ কাজী আলমগীর হোসেন। তিনি বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তবে এর পর মহিউদ্দিন আহম্মেদকে দলের কোন পদ পদবীতে আর রাখা হয়নি।অপরদিকে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে এড. হাফিজুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বচন করে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এড. হাফিজুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহম্মেদ দুই জন বন্ধু এবং শহরের মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্ধা। রাজনৈতিক মাঠে দুই নেতারই বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে, সে কারনে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে বিগত দিনে মুসলিম পাড়া কেন্দ্রিক একটি প্রভাব ছিলো। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ তুলে এতদিন এই দুই নেতাকে দলের কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা কর্মীরা মনে করেন, এড. হাফিজুর রহমান এবং মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ন পদ তারা তাদের নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দিয়েই অর্জন করেছেন। আর এমন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দল থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সেটা দলের জন্য শুভকর নয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হলে তাদের মাধ্যমে দল উপকৃত হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত দলের জন্য মামলা খেয়েছি, হামলার শিকার হয়েছি। বিগত দিনে এমন কোন আন্দোলন সংগ্রাম নেই যাতে আমরা অংশ নেইনি। এর পরও কিছু দুষ্ট রাজনৈতিক নেতা আমাদের কোনঠাশা করে রাখতে চায়। তবে মানবতার মা, আমাদের প্রিয়নেত্রী আজ আমাদের গণভবনে আমন্ত্রন জানানোর মধ্য দিয়ে প্রমান করেছেন আমরা আওয়ামীলীগে ছিলাম এবং আছি। আগামী দিনের সকল আন্দোলন সংগ্রামে দলের প্রয়োজনে আমরা প্রথম কাতারেই থাকবো।পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আমরা আছি এবং থাকবো। আমরা দলের জন্য নিবেদিত, আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের জন্য কাজ করবো। অনেক নেতাদের আচার অচরনে মান অভিমান করে দল থেকে দূরে থাকা নেতা কর্মীদের আমরা সংগঠিত করে দলকে শক্তিশালী করবো। যাদের গ্রহন যোগ্যতা আছে জনপ্রিয়তা আছে মানুষের সাথে যারা কাজ করে তাদের দিয়েই আগামীতে দল পরিচালিত হবে বলে আমরা মনে করি। আগামী সংসদ নির্বাচনে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের এই দুই নেতাকে জেলা আওয়ামীলীগের কোন পদ পদবী কিংবা রাজনৈতিক মাঠে কোনঠাসা করে রাখলেও এবার দলের সভাপতির উপস্থিতিতে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত হওয়ায় মধ্য দিয়ে পটুয়াখালী আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন এক সুবাতাসবইবে বলে মনে করেন দলের নেতা কর্মীরা।
মন্তব্য