২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
র‍্যাবের এজাহারে মূল আসামি, পুলিশের চার্জশিটে বাদ গেলেন ১৫ মামলার আসামী মহেশখালীর এনাম চেয়ারম্যান নবাগত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে কিশোরগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি,পরিশেষে দাবি পূরণে আনন্দ-উল্লাস অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু দুর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধুর মৃত্যুর পর পালালো স্বামী রাজশাহী তানোরে হিমাগারে মজুদ আলু নিয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের চরম দুশ্চিন্তা ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> ঢাকা >> দেশজুড়ে >> ফরিদপুর >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • নগরকান্দায় রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি নিয়ে নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী
  • নগরকান্দায় রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি নিয়ে নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুরঃ

    ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা রেলওয়ে ভূ- সম্পত্তি নিয়ে রাজাকার পুত্রদ্বয়ের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিধবা নারী মমতাজ বেগম। উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালমা গ্রামের মৃত্যু হারুন অর রশিদের স্ত্রী মমতাজ বেগম(৭০) তালমা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করেন।তাদের নিজ জমি ও বাড়ি সংলগ্ন থাকায় সে ও তার দুই পুত্র আবু মুছা ও মেহেদী হাসান পিতা মৃত হারুন অর রশীদ গত ১৪/১০/২২ ইং তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশীর থেকে নিলাম ( লাইসেন্স) গ্রহণ করেন।জলাশয় নং ২৮০ মেহেদী হাসান নিলাম সুত্রে ০.৫০ একর জলাশয় প্রাপ্ত হন।১৪২৯ হইতে ১৪৩১বাংলা সন পর্যন্ত প্রাপ্ত হন। জলাশয় নং ২৭৯, ০.৫০ একর ভূ- সম্পত্তির নিলাম সুত্রে ১৪২৯ হইতে ১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত আবু মোছা ২০২০(২৮)২৮০ নং লাইসেন্স মূলে রেলওয়ে ভূ- সম্পত্তি প্রাপ্ত হন। ১৩৬ নং মৌজার সাবেক ৫৫৮,৫৫৯,৫৬০,৫৬১ নং দাগে ০.৬২ একর জলাশয় (পুকুর)। নিলাম সুত্রে প্রাপ্ত হয়।সে মতে পুকুরে মাছ চাষ করে ভোগদখলে আছেন।গতি ৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখে রাজাকার পুত্র দেলোয়ার মাতব্বর(৫০),মোঃ পিরু মাতুব্বর (৪২),নিলু মাতুব্বর (৪৫) উভয় পিং মোহাম্মদ মাতুব্বর গংরা জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। মাছ ধরে নেওয়ার সময় বিধবা নারী মমতাজ বেগম তাদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করলে তাদের পরিবারের লোকজন কে মারপিট করে আহত করলে মমতাজ বেগম – স্বামী মৃত হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে দেলোয়ার গংদের বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করেন। মোকদ্দমা ঃ দঃবিঃ আইনে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (বি)/৩৪ ধারা।এ-র পূর্বে আসামি গানের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা মামলা করলে আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ১২/০৭/২০২০ খ্রিঃ ফৌঃকাঃবিঃ-১০৭/১১৭(সি)ধারায় ফরিদপুর আদালতে একটি মামলা করেন।এছাড়া গত ২২/০৫/২০২২ ইং তারিখে আসামীগন বিধবা নারী মমতাজ বেগমের বাড়িতে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়।এসময় মমতাজ বেগমের মেয়ে খাদিজা বাধা দিলে তাদেরকে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নগরকান্দা থানা একটি মামলা করেন।নগরকান্দা থানার মামলা নাম্বার ২৩। তারিখ ২৩/০৫/২০২২ খ্রিঃ। ধারা -৪৪৭/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/১১৪/৫০৬ পেনাল্টি কোড।বিধবা নারী মমতাজ বেগমকে দেওয়া তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়ার প্রত্যয়ন পত্রে ভূ-সম্পত্তির হিসাব অনুযায়ী ১৩৬ নং তালমা মৌজার এস,এ ৭২০ নং খতিয়ানের ৪৭ শতাংশ ভূমি শামসুদ্দিন মৌলভী,মোহাম্মদ মাতুব্বর,জালাল উদ্দিন মাতুব্বার পিং খোয়াজ মাতুব্বর একত্রে ৮ আনা অংশ ও ফাতিমাতুন্নেছা জং নুর উদ্দিন মুন্সী ৮ আনা অংশ। ২৩.৫০ শতাংশ ভূমি প্রাপ্ত হয়।এবং ঐ মৌজার এস,এ অংশে ফাতেমাতুন্নেছা জং নুরুদ্দিন মুন্সী প্রাপ্ত হয় এবং ঐ মজার বি,এস ৭০৬ নং খতিয়ানে বি,এস ৭০১ নং দাগে ৮ শতাংশ ভূমি ফাতেমাতুন্নেছা জং নুরুদ্দীন মুন্সী প্রাপ্ত হয়। এতে ফাতেমাতুন্নেছা মোট ৩ খতিয়নে ৪৭.৫০ শতাংশ ভূমি প্রাপ্ত হয়। ফাতেমাতুন্নেছা জং নুরুদ্দিন মুন্সী মারা গেলে তার দুই পুত্র হারুন অর রশিদ ও কবির ইকবাল ও ৪ কোন্যা ওয়ারিশ থাকে।হারুনা রশিদের চার বোন তাদের ৩৫.৬২৫ শতাংশ জমি দান করে দেয় ও দখল বুঝিয়ে দেয়।হারুন অর রশীদ মারা গেলে তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ৫ কন্যা,২ পুত্র ওয়ারিশ থাকে এবং উক্ত সম্পত্তি পায়।কবির ইকবালের কাছ থেকে ১ শতাংশ জমি দলিল মূলে ও ২৮ শতাংশ জমি স্ট্যাম্পে খরিদ করেন মমতাজ বেগম। ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম বলেন,আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার, আমার প্রতিবেশী রাজাকার পুত্র দেলোয়ার মাতুব্বর গংরা আমাদের লিজ আনা রেলওয়ের ভূ- সম্পত্তির জলাশয় জোরপূর্বক পুকুরের মাছ ধরে নিয়েছে,আমরা বাধা দিলে আমাদের মারপিট করছে,আমাদের বাড়ির পথ বন্ধ করে দিয়েছে,আমরা মানবতার জীবনযাপন করছি,রেলওয়ে কর্মকর্তা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জুলুমবাজ নির্যাতনকারী রাজাকার পুত্রদ্বয়ের হাত থেকে বাচার জন্য বিচার দাবী করছি।তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া বলেন,বিধবা নারী মমতাজ বেগম এর লিজ আনা পুকুরের মাছ দেলোয়ার মাতবর ও তার লোকজন ধরে নিয়ে গেছে এবং তার বাড়ির পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইহা খুবই অমানবিক ঘটনা।আমরা সবাই দখলদারদের বিচার চাই।দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন আমার মা ইছারন নেছার নামের জমি রেলওয়ে একওয়ার করে নেয় ভূতর্তকী হিসেবে টাকা পায়। মমতাজ বেগম ও তার ছেলের নিলাম( লাইসেন্স)বাতিল করে পরে রেলওয়ের ভূ সম্পত্তি আমি ও আমার ছেলে অধিগ্রহণ করি।এছাড়া কিছু জমি রেলওয়ের ভু সম্পত্তির আমার নামে ভুলবশত বি,এস রেকর্ড হয়েছে। এবিষয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজবাড়ি ফিল্ড কানুনগো ১৪ ও ১৫ কাচারী সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন জলাশয় মমতাজ বেগম এর নামে নিলাম লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ার নিজের নামে বি, এস করেছে এবিষয় আমরা বি, এস রেকর্ড বাতিল করার জন্য আবেদন পাঠিয়েছি, বিষয়টি উদ্বোধন কর্মকর্তারা ভালো জানে।বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।অন্যান্য আদায়কারী কর্মকর্তাগন চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।রেলের ভূ- সম্পত্তি ১ দাগে একাধিক লোকের নামে নিলাম লাইসেন্স প্রদান করে কৌশলে অর্থ লুটপাট করছেন রেলওয়ে পাকশী কর্মকর্তারা।স্হানীয় সানন্দ সাহা বলেন দেলোয়ারের বাবা মোহাম্মদ মাতুব্বার ১৯৭১ সালে রাজাকারদের সাথে থেকে এলাকার বহু বাড়িঘরের আগুন লাগিয়ে লুটপাট করেছে, মোহাম্মদ মাতুব্বর রাজাকার ছিল আমরা জানি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page