আব্দুল্লাহ জামালপুর সদর প্রতিনিধি>>> জামালপুর শহরের জলাবদ্ধতা,জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে ৬৫ বছর আগে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ গবাখালটি খনন করা হয়। এই খালটি জামালপুর পৌরসভার শেখেরভিটা থেকে শুরু করে মনিরাজপুর,পলাশঘর,কেন্দুয়া কালিবাড়ি হয়ে ঝিনাই নদীতে গিয়ে শেষ হয়।এই গবা খালি খালটি ছিল এতোদিন আবর্জনায় ভর্তি।আবর্জনার কারণে যেখানে পানির দেখাই মিলতো না।যার কারণে একটু বৃষ্টিতেই শহরের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো।আজ সেই গবাখালি খালটি তার সৌন্দর্য ফিরে পেতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।গবা খালি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মো: আবুল কালাম আজাদ।আর সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের সেই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।জামালপুর পৌরসভার উদ্যোগে খালের পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়।স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দিতে হাতে গ্লাবস পরে নিজে খালে নেমে ময়লা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।এরপর একে একে জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান,পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ,পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু খালের নর্দমায় নেমে নিজ হাতে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন।জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মৃত এ খালকে আবার জীবিত করতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসা ১ সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবীরাও নেমে পড়েন খাল পরিষ্কারে।এছাড়াও খাল পরিষ্কারে পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কাজ করেন।দীর্ঘদিন পর ঐতিহ্যবাহী গবাখালটি পরিষ্কার করায় সদর আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।এছাড়াও খালটির সৌন্দর্য ফিরে পেতে এমন কর্মযজ্ঞকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা।জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন,ময়লা ও দখলমুক্ত করে গবাখালি খালগুলো তার আগের রূপে ফেরানো হবে।পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি।পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে।একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়,রাস্তাঘাট ডুবে যায়।কারণ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না।ময়লা ফেলে খালগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।খাল পুনরুদ্ধারে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।এই খালটির দুই পাশেই ওয়াকওয়ে সহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে।গবাখালি খালটি পরিষ্কার করার পর তার সৌন্দর্য যেন ধরে রাখা হয়।কেউ যেন আর খাল দখল সহ খালের পানি দূষণ করতে না পারে।এমনটিই প্রত্যাশা করেন জামালপুরবাসীরা।
মন্তব্য