মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী।
আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবাই এক্সপো সিটি অনুষ্ঠিত হবে কনফারেন্স অব পার্টি (কপ) বা জলবায়ু সম্মেলনের ২৮ তম অধিবেশন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সৈকতের বীচে এ সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন দাবীতে কুয়াকাটায় মানববন্ধন, অবস্থান ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরাম।পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি হাসিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন টুরিস্ট পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রাজু আহম্মেদ, জলবায়ু এ্যাক্টিভিস্ট জহিরুল ইসলাম, কনক আক্তারসহ অন্যান্যরা।উপকূলীয় বিপন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করণে, প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন, জলবায়ু সু-বিচার প্রতিষ্ঠা, গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ও জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই সমাধান এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিবছর ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শর্তহীন অর্থ সহায়তার দাবী জানান বক্তারা।এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার দেশ গুলোর টেকসই সুরক্ষা ও নায্যতার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করে বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানরা। কিন্তু সম্মেলনে বড় ধরনের কোন কার্যকরীতা আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি বলেও জানান বক্তারা। কপ সম্মেলনে এবারও যদি বাংলাদেশ সহ ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশ গুলোর ঝুঁকি মোকাবেলায় শর্তহীন প্রয়োজনীয় তহবিল গঠনে বিশ্ব নেতৃত্ব ঐক্যমত পোষণ করে, তাহলে এই সম্মেলন বৈশ্বিক চা চক্র ছাড়া, আর কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয়।এ সময় জলবায়ু এ্যাক্টিভিস্ট জহিরুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধ দাঙ্গায় ও পারমানবিক খাতে যত অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তার ১ শতাংশ জলবায়ু খাতে বরাদ্দ রাখলে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলো নিজেদের খাপ খাইয়িয়ে নিতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারত। যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোর জন্য অনুদান দিলে, স্বংক্রিয় ভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
মন্তব্য