মো: সজিব উদ্দিন,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি >>>
আমদানির খবরে অবশেষে হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল রবিবার বিকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাল কমতে শুরু করেছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩৫০ থেকে ৪৭৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে । এর আগে গত শনিবার পাইকারি বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচণ্ড খরায় মরিচ গাছে ফলন কম। তার ওপর গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে বিভিন্ন স্থানের ক্ষেতে মরিচ গাছ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানির স্বল্পতা ও ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অধিক মুনাফা লুটতে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি ও বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।আড়তদাররা বলছেন ঈদের কারণে আমদানি কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব খবর পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজারে (কাঁচামাল পট্টি) কাঁচামরিচ কিনতে আসা প্রবাসী হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচামরিচের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী তাতে গত কয়েকদিন ভয়েই কিনিনি।আজ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম অন্য সব পণ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে আজ দাম কিছুটা কমেছে।’ একই বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মহসীন আলী বলেন, ‘গরম ও বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। ঈদের কারণে আমদানিও বন্ধ ছিল। এতে পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে গতকালের চেয়ে আজ মোকামে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কম। ৬০০ টাকার মরিচ আজ ২০০ টাকা কম হয়ে ৪০০ টাকা হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও কমবে।’কাঁচামালের আড়তদার মাজিদ হোসেন কিটু বলেন, ‘কাঁচামালতো আমদানি বাড়লে দামও পড়ে যাবে। দাম বেড়েছিল, তবে এখন অনেকটা কমছে।’ চুয়াডাঙ্গা কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আমদানিকারক শাহ আলম বলেন, তুলনামূলকভাবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। আশা করি দু-একদিনের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার কাজ চলছে।
মন্তব্য