মোঃ সাদেকুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী>>> লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের উদ্যেগে দিন ব্যাপি নবান্ন উৎসব ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার কলেজ মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আনিছার রহমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব শান্তা রানী সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সাজ্জাদুল পারভেজ,বিভাগীয় প্রধান (ইতিহাস বিভাগ) ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ।বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞান,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,ব্যবস্থাপনা,বিভাগের শিক্ষার্থীরাও নবান্ন উৎসব ও পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে জনাব আনিছার রহমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “বাংলা বিভাগের উদ্যেগে এই আয়োজন আমরা চাই এই আয়োজন সহ সামনে যত আয়োজন আছে সবাই সমৃদ্ধ ভাবে উৎসাহ উদ্দীপনায় পালন করুক”।বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব শান্তা রানী সরকার জানান বেশ কয়েকবছর পর আবারো এই নবান্ন ও পিঠা উৎসব আশা করি জাঁকজমকপূর্ণ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আরো সামনে সকল অনুষ্ঠান পালন করবে।বাংলা বিভাগের প্রভাষক আসাদুজ্জামান বাবু বলেন,”গ্রাম বাংলার কিছু পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের এই আয়োজন।এতে করে নতুন প্রজন্মরা পুরনো দিনের কিছু ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পারবে”।এ-সময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী জানান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরে পেতে এই আয়োজন। আমরা এখন প্রায় শহরমুখী হয়ে গেছি গ্রামে তেমন একটা যাওয়া হয় না। বাসায় পিঠা তৈরী করলে একসাথে এত পিঠা তৈরী করা হয় না।এখানে অনেক পিঠার বাহারে পিঠা খাচ্ছি এবং অনেক নাম না জানা পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছি।আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বাংলা বিভাগ সহ সকলকে।বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ বর্মন জানান এ সময়ের পিঠা উৎসবে আমরা শিক্ষার্থীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এতে আমরা আনন্দিত।রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সম্রাট বলেন নানানরকম পিঠা পসরায় সাজানো হয়েছে এতে বেশ ভালো লাগছে।সবাই বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছি।মেঘনা খন্দকার বলেন এবার সুন্দর সমৃদ্ধ আয়োজনে রঙিন এই নবান্ন ও পিঠা উৎসব।দর্শনাথী কাজী আফসানা আক্তার তিথী জানান বাঙালি মানে ভোজন রসিক খাবার তাতে শীতকালে তো কথায় নয় পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়।তাছাড়া এখানে পিঠার দাম ও হাতের নাগালে সবাই কিনে খেতে পারছে।গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরে পেতে স্টলে শীতকালীন নানা রকম পিঠার পসরা সাজানো হয়।দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানে ভীড় জমে অনেক শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিতদের।
মন্তব্য