নিউজ ডেক্স>>>রোহিঙ্গাদের জন্য ৬৫ কোটি ডলার অনুদান নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ড।দুটি প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন করা হবে।অর্থায়নের প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং পুরোটাই অনুদানের শর্তে।প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৬৬ পয়সা হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ১২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার,ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যানা বেজার্ড।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন অ্যানা।তিনি বলেন,আজ প্রায় শতভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়।প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই বিদ্যুৎ রয়েছে।বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এবং সেই সঙ্গে স্বাগতিক সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।অ্যান্য বেজার্ড বলেন,বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের জন্য আমি খুবই গর্বিত।এটি লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে।আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি,শক্তিশালী বেসরকারি খাতের উন্নয়ন,বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং জলবায়ু মোকাবিলায় কাজ করেছি।ভবিষ্যত সংকট মোকাবিলায় ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবো এবং একই সঙ্গে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবো।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল অন্যতম।দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৪১ বিলিয়নের বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।এ ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ।বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান।
মন্তব্য