নিউজ ডেস্ক>>> বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা,তার বোন শেখ রেহানা,আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।মামলায় সাবেক মন্ত্রী,সংসদ সদস্য,ব্যবসায়ী, পুলিশ,সাংবাদিকসহ ২০৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহত হৃদয় তরুয়ার বন্ধু আজিজুল হক বাদী হয়ে এই মামলা করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান,সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ,তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী,আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম,দিলীপ কুমার আগরওয়াল,খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,সিটি কর্পোরেশনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন,চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনা,সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম,চট্টগ্রাম জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ,কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ মহসিন,পাঁচলাইশ থানার সাবেক ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মং শৈ প্রু।আসামি করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ,সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কমল দে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক ও একুশে টিভির সাবেক আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহারকে।এছাড়াও মামলায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।মামলার এজাহারে বলা হয়,গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া অংশ নেন।একইদিন চান্দগাঁও এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হয়েছিলেন হৃদয়।গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়।অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিদের অনেকে হামলায় যোগ দেন।
মন্তব্য