আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে এক ঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই উপজেলায় ১৭ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সিডর ও মোখার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত ২০০ কাঁচাঘর ভেঙে গেছে। ঘেরাবেড়া, গাছপালা উপড়ে গেছে। একাধিক বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে গিয়ে ও গাছ পড়ে সর্বত্র সঞ্চালন তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে দুই উপজেলা। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বেশিরভাগ এলাকায় একেবারে নেই, কোথাও থাকলেও এই আছে এই নেই অবস্থা। সড়কের উপর উপড়ে পড়া গাছ পড়ে থাকায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি সচল হয়নি। ধান-সব্জির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে ৷পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, সাতকানিয়া পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। চালু করতে কয়েকদিন লাগবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ তাণ্ডবে চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের, আহত হয়েছেন আশি জনের বেশি মানুষ। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখনও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে বাঁশখালী চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলা।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতি বিবরণ লিখিত দিতে। সরকারি অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিমও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।
মন্তব্য