১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
সাতকানিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দূর্নীতির মাস্টারমাইন্ড জিল্লুর দাপটে অসহায় অফিস কর্মকর্তা ও গ্রাহক প্রভুভক্ত কুকুরের কারণে মোটরসাইকেল চুরির চেষ্টা ব্যর্থ নেছারাবাদে চোরের আঘাতে আহত কুকুর, ভুক্তভোগীর থানায় অভিযোগ ২৪নভেম্বরের মধ্যে ১লক্ষ ২৪হাজার শিশুর সুরক্ষায় টাইফয়েট টিকাদান সম্পন্ন হবে রিভিউ সভায় টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষায় টিকাদান কুসংস্কার প্রভাব ফেলতে পারেনি খালেদা জিয়ার সম্মানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে — বিএনপির প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমাদের রাজনীতি- শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি লোহাগাডার চুনতীতে শাহজাহান চৌধুরী — ইসলামী আন্দোলনের সাফল্যের জন্য নারীদের সম্পৃক্ততা জরুরি বিএনপি নেত্রী হেলেন জেরিন খানের বিএনপির মনোনয়নের দাবীতে মতবিনিময় সভা সাতকানিয়ায় পুত্রের হাতে পিতা খুন স্মরণকালের জনসমুদ্রে কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস  উদযাপন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> চট্টগ্রাম >> চট্টগ্রাম >> দেশজুড়ে
  • সাতকানিয়ার বনভূমি দখল করে অবৈধ বসতি
  • সাতকানিয়ার বনভূমি দখল করে অবৈধ বসতি

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিজস্ব প্রতিবেদক।। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া বন গবেষণা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রিত পাহাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে বসতি গড়ে ওঠা ও বনভূমি উজাড়ের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। প্রায় ১ হাজার ৮৪ দশমিক ১৭ একর সরকারি পাহাড়ি জমির উল্লেখযোগ্য একটি অংশে নতুন বসতি ও পাহাড় কাটার ঘটনা স্থানীয় জনপদে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

    স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন যে, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এনে এসব পাহাড়ি এলাকায় বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে এলাকার জনসংখ্যার গঠন পরিবর্তন হচ্ছে এবং সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি—পাহাড় কাটার পাশাপাশি বাইরের অঞ্চলের মানুষকে এনে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যা এলাকাকে জননিরাপত্তা ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে ফেলছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠিত একটি চক্র সরকারি পাহাড় কাটছে এবং অনিয়মের মাধ্যমে সেখানে বসতি স্থাপনের সুযোগ তৈরি করছে। তারা জানান—পাহাড় কাটায় ভূমিধস, বনজ পরিবেশ ধ্বংস এবং সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় একজন প্রবীণ বাসিন্দা বলেন—”পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। বনভূমি রক্ষা করা জরুরি।”

    কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবার–সংক্রান্ত বিশৃঙ্খলা ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এসব আচরণ ও গোপন কার্যকলাপ গ্রামের নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং সামাজক মূল্যবোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    তারা জানান— “রাতে অপরিচিত লোকজনের চলাফেরা, নতুন বসতি এবং সন্দেহজনক তৎপরতা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে।” স্থানীয় কয়েকজনের দাবি—পাহাড়ি এলাকায় কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও বেড়েছে। পরিচয় গোপন করে, বিভিন্ন জেলা থেকে পালিয়ে আসা অপরাধীরা এলাকায় ঢুকে পড়ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    এলাকাবাসী বলছেন—“বনভূমি দখল, অবৈধ বসতি আর পাহাড় বিক্রির ঘটনা বছরের পর বছর ধরে চলছে। আমরা জানতে চাই—এটার জবাবদিহিতা করবে কে?” তাদের দাবি, প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে। না হলে হরিণতোয়ার পাহাড়ি অঞ্চল পরিবেশগতভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং জননিরাপত্তা বড় সংকটে পড়বে।

    স্থানীয় জনতা দাবি করেছেন—অবৈধ বসতি উচ্ছেদ, পাহাড় কাটা বন্ধ, অপরাধমূলক তৎপরতা দমন, বনভূমির সীমানা রক্ষায় অভিযান, স্থায়ী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। এলাকাবাসীর বক্তব্য—“জনপদ, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার স্বার্থে পাহাড় সুরক্ষা এখনই নিশ্চিত করতে হবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page