আব্দুল্লাহ আল মারুফ >>> ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক আলিম সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে এ প্লাসপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা এবং পৌর বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোট ৬৭ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং এর মধ্যে ২৫ জনকে পৌর বৃত্তি প্রদান করা হয়।
পৌর নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামছুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আশীষ বরণ দেব, বিএনপি নেতা তসলিম উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার সম্রাট, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পৌর সাবেক আমীর ওয়াজেদ আলী, পৌরসভার সাবেক মেয়র নেওয়াব মিয়া, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী গৌতম দাসসহ অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সাতকানিয়া মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি শুধু একজন শিক্ষক নই, আমি এমন একজন মানুষ, যিনি নিজের চোখে দেখেছি—কীভাবে ছোট ছোট মুখগুলো আজ মেধা, পরিশ্রম ও স্বপ্নের আলোয় বড় হয়ে উঠেছে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও খোন্দকার মাহমুদুল হাসান শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মূল্যবোধগঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা শুধু পরীক্ষার ফলাফলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং মানবিকতা, শিষ্টাচার, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমও শিক্ষার অংশ। তোমরাই আগামীর নেতৃত্ব—তাই পড়াশোনার পাশাপাশি চরিত্রগঠনে মনোযোগী হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের জাতি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হলে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত ভূমিকা জরুরি। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা চর্চা এবং দায়িত্বশীলতা অর্জনের পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও বৃত্তির চেক তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়।











মন্তব্য