মোঃ আঃ লতিফ মিয়া সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি>>> টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা নির্বাচনে নতুন চমক হিসেবে আবির্ভাব হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ ফারুক হোসেন।ফারুক হোসেনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের নোয়ালীচালা গ্রামে।তার পিতা হাবিবুর রহমান(হবি মেম্বার) কাকড়াজান ইউনিয়নের বৃহত্তর ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছিলেন।তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।ইতিমধ্যে তিনি সখিপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মসজিদ-মন্দিরে,ওয়াজ মাহফিলে,গান-বাজনাসহ সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন।তার হাতের ছোঁয়া লাগেনি এমন জায়গা নেই।নতুন হিসেবে তিনি যেন একটি চমক সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন সখিপুর উপজেলায়।ক্ষমতাসীল আওয়ামী লীগের ৬ জন প্রার্থীসহ ৭ জন প্রার্থী ভোট প্রার্থনা করছেন।একেক জন একেক এলাকায় জনপ্রিয়।কিন্তু ফারুক সাহেব সারা সখিপুরেই ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র,ভদ্র,সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ।তার মাঝে কোনো অহংকার নেই।নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে জনপ্রিয়।সখিপুরের সকল জনগণ এখন এক কথায় ফারুক সাহেবের ভক্ত হয়ে গেছেন।তিনি,তাঁর পরিশ্রম,সাহস,ইচ্ছাশক্তি,একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একাকার হয়ে গেছেন।এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।তিনি তার কর্মদক্ষতায়,সর্বোপরি গরীব দুঃখী,মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করতে পেরেছেন। দাড়িয়াপুরপুর ইউনিয়নের চাকলাপাড়ার ছেলে রফিক বলেন-এবার আমি কোন রাজনৈতিক নেতাকে ভোট দিবোনা,ভোট দেবো ফারুক সাবকে কেন দিবো, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।তিনি জনগণকে শুধু দিবেন,নিবেন না।কালমেঘার জোসনা খাতুন বলেন- রাজনৈতিক নেতারা ভোট নিয়া চেয়ারম্যান হয়ে আমাদের কথা মনে রাখেন না।তবে আমার মনে হয় এই ব্যবসায়ী আমাদের কথা মনে রাখবেন।তাই আমি আমার ভোটটি ফারুক সাহেবকেই দিবো।এ ব্যাপারে ফারুক সাহেবের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান-আমি সৎ ব্যবসা করেছি,আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন।আমি চাই সর্বসাধারণের মাঝে সম্পৃক্ত থেকে তাদের সুখে-দুঃখে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে,আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই,চেয়ারম্যান হলে সরকারি বরাদ্ধের সবটুকু দিয়েই আমি কাজ করতে চাই।আমি মানুষের পাশে থেকে মানুষের খেদমত করতে চাই।আমার বাবা একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের খেদমত করেছেন আমারও ইচ্ছে আমি মানুষের মাঝে নিজেকে সম্পৃক্ত করে জনগণের খেতমত করা।আমি প্রতিদিন ৫/৭টি পর্যন্ত প্রেগ্রাম করছি, দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে যেভাবে বিচরণ করতে পেরেছি,মিশতে পেরেছি তাতে আমার মনে হচ্ছে আল্লাহর রহমতে আমি উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার শতভাগ আশাবাদী,বাকী আল্লাহ ভরসা।তাইতো কাকড়াজান গ্রামের নজরুলসহ স্থানীয় জনসাধারণ,ভোটার ও সচেতন মানুষ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আগামীতে দেখতে চান আলহাজ ফারুক হোসেনকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলা নির্বাচন ৪র্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।যার পেক্ষিত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যে যার মত সখিপুরের ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন,এবং ভোটারের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রিতি।
মন্তব্য