মোঃ আঃ লতিফ মিয়া সখিপুর (সখিপুর) টাঙ্গাইল>>> টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে ডাকবাংলো চত্বরের বিপরীতে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে প্রাণী সম্পদ অফিসের কার্যক্রম চলছে। গতকাল সোমবার সকালে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার কচুয়া পূর্ব পাড়া ভূইয়া বাড়ির গৃহবধু নার্গিস আক্তার (মিতুর মা)৫ মাসের ছোট্ট একটি বাছুর ছোটাছুটি করার সময় বাঁশের আঘাত পেয়ে পেটের চামড়া ছিদ্র নিয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসে।কিন্তু চিকিৎসা দেওয়ার শেডঘর না থাকায় তার সন্তানের মতো বাছুরটি প্রখর রোদে ডাক্তার সেবা দিচ্ছে দেখে মনে কষ্ট পেয়েছি।নার্গিস আক্তার বাছুরের যথাযথ চিকিৎসা পেয়ে তার আক্ষেপ ঘোঁচে গেছে। সখিপুরে প্রাণী সম্পদের এই ভবনটি ১৯৮২সালে নির্মাণ করা হয়।চারিদিকে প্রাচীর ঘেরা ১একর জমিতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত।এ পশু হাসপাতালের একটি মাত্র জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনে আবাসনসহ চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। একটি মাত্র ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা দসামিউল বাছির হাসপাতালের ভবন ও জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,আগেও হাসপাতালের নানা সমস্যার বিষয়টি লিখিত আকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।তিনি আরও জানান,গত ৩ মাস আগেও আবার নতুন করে জানানো হয়েছে।বর্ষা মৌসুমে হাসপাতালের প্রবেশ মুখ থেকে ভবনের চারিপাশসহ প্রায় সম্পূর্ণ আঙ্গিনা পানিতে নিমজ্জিত থাকে।সীমানা প্রাচীরের কয়েকটি অংশে দেয়াল ভেঙে গেছে।এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।চিকিৎসা ল্যাবসহ নানাবিধ সংকট থাকা স্বত্তেও সেবা যেন বিঘ্নিত না হয় প্রানান্তর চেষ্টা করি।এবিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলামের সাথে এ প্রতিনিধির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,ঐ উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের নানান সমস্যার বিষয়টি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে।তিনি আরও বলেন,দ্রুতই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য