মোঃ আঃ লুতিফ মিয়া সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালমেঘা সিন্দূরিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইসমাঈল হোসেন( ৬৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সখীপুর উপজেলার কালমেঘা সিন্দুরিয়া গ্রামের খোরশেদের ছেলে ইসমাঈল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল, প্রতিপক্ষ নছুমুদ্দিন মোল্লার ছেলে আজিজুল মোল্লার (৫০)ও তার ভাই এবং ভাতিজার সাথে। রবিবার (১৪ মে) আনুমানিক সকাল ৭ টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে ইসমাঈল হোসেন ও তার ভাগনে মোহাম্মদ আলীর ছেলে ধলা মিয়া (৪২) এবং তার ছেলে মামুন( ৩২) কে নিয়ে ধান কাটার জন্য গেলে প্রতিপক্ষের আজিজুল মোল্লাসহ তার ভাই-ভাতিজার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে তাদের আহত করলে ধলা ও মামুন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্তা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭বছর যাবৎ ইসমাঈল হোসেন নছুমুদ্দিনের কাছ থেকে ১ একর জমি ক্রয় করে চাষবাস করছিল।কিন্তু নছু মোল্লার ছেলে আজিজ মোল্লা, তোফাজ্জল মোল্লা, নব্বে মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম গোনাই এবং আবুল হোসেনের ছেলে কামরুল ও সাইফুল ঐ জমিটি তাদের বলে দাবি করে দখলের চেষ্টা করতে গেলে ইসমাঈল হোসেন ও তার লোকজন বাধা দিলে হামলার শিকার হন। এদিকে ইসমাঈল হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ৬নং ইউপি সদস্য মো.আফজাল হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নুরে আলম মুক্তা বলেন, জমির বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কয়েকবার শালিশী বৈঠক হলে সেখানেও ইসমাঈলের জমি বলে প্রমাণিত হয়। মূলত, প্রতিপক্ষ দখল করতে নিতে গেলে ইসমাঈল বাধা দিলে তার উপর হামলা হয়। এ বিষয়ে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, ইসমাইলের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সখিপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য