রবিউল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার বগুড়া>>> বগুড়ার শিবগঞ্জে নবাগত কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় নিম্নমানের হীরা বীজ আলু উধাও করলেন সুপ্রীম সীড কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার উজেলার বলরামপুর শাহ সুলতান হিমাগারে নি¤œমানের আলু আটক করার নির্দেশদেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান।অজ্ঞাতকারণে পরিচালনা করা হয়নি ভ্রাম্যমান আদলত।জানা যায়,গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় গণমাধ্যম কর্মরীরা উপজেলার বলরামপুর শাহ সুলতান হিমাগারে যান।সেখানে সুপ্রীম সীড কোম্পানি লিঃ এর নিম্নমানের বীজ আলু দেখতে পান।এসময় কোম্পানীর প্রতিনিধি তাপস দাদা কৌশলে শটকে পড়েন।গণমাধ্যম কর্মীরা এসময় বীজ আলুর বস্তায় দেখতে পান প্রত্যেকটি বস্তায় নি¤œমানের বীজ আলু।এসময় স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়।মুঠোফোনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান হিমাগারের ব্যবস্থাপককে জানান এবং ১৯৫ বস্তা আলু হিমাগার থেকে বের করে না দেওয়ার জন্য অবগত করেন।১৮ নভেম্বর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এসময় তিনি নি¤œমানের বীজ আলুর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে প্রমাণপান।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কৃষি কর্মকর্তা ও হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় কোম্পানীর প্রতিনিধিরা নিম্নমানের বীজ আলু অপসারণ করে নিয়ে যায়।সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান বলেন,বিষয়টি আমি জানি। আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় যাওয়ায় তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদাতল পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।তবে কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।গণমাধ্যম কর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারকে অবগত করলেও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন,সুপ্রীম সীড কোম্পানীর হীরা বীজ এর নিম্নমানের বীজ আলু পাওয়া গেছে।কিন্তু ট্যাগের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত নয়।এমনকি তিনি ট্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেননি।তিনি জানান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে কি না তা প্রশাসনকে অবগত করেননি।কৃষি কর্মকর্তা ও হিমাগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উদাসিনতা ও সহযোগিতায় নষ্ট নিম্নমানের বীজ আলু কোম্পানীর প্রতিনিধিরা রাতের আঁধারে কৃষকদের মাঝে বিক্রির জন্য বাজার জাত করেন।
মন্তব্য