বদরুল ইসলাম>>> সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ বাজারের অটোস্ট্যান্ডে প্রায় মাসখানেক ধরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে আসছিলেন সুজিত দাশ।রানীগঞ্জে গত (১৬ নভেম্বর) ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে সে তার সিএনজি নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের সৈয়দপুরে আসে। রাত আনুমান ৯টার সময় স্থানীয়রা রানীগঞ্জ সেতুর উপর রক্তাক্ত অবস্থায় তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।সূত্রে আরো জানা যায়,গলা কাটা লাশের খবর চতুরদিকে ছড়িয়ে পড়লেই রাতেই ঘটনাস্থলে আশপাশ এলাকার শত শত মানুষ ঐ সেতু এলাকায় ভীড় করেন।এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ধারনা করছেন,সিএনজি ছিনতাই করার জন্য ছিন্তাইকারীরা তার পিছু নিয়ে এই সেতুটি নির্জন এলাকায় হওয়ার কারনেই দুর্বৃত্তরা তাকে এখানে আসার পরই পথরোধ করে তাকে হত্যা করেছে।এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সিএনজি চালকের ভাই সুবাস দাশ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় এ হত্যান্ডের ৩দিন পর গত (১৮ নভেম্বর) তার ভাই হত্যার বিচারের দাবীতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-১১, ধারা- ৩৯৪/৩০২/৩৪ The Penal Code ১৮৬০।হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী’র বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে মাটে কাজ শুরু করেন।এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩,সুনামগঞ্জ ও সিপিসি-৩ এর শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে গত (১৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার রাত অনুমান ৯টার দিকে হবিগঞ্জের বাহুবল ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত চাঞ্চল্যকর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের আলোচিত চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক সুজিত দাশ খুনের হত্যা মামলার পলাতক ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার শালদিঘা গ্রামের আনছার আলীর পুত্র আলী হায়দার (৩৬),হবিগঞ্জ জেলা সদর থানার নোহাটি গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর পুত্র হাফিজুর রহমান (২৬) ও বাহুবল থানার পনারআব্দা গ্রামের আব্দুল হাই এর পুত্র মোঃ শিবলু মিয়া (২০)।পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এছাড়াও,দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল।
মন্তব্য