মোঃ আল আমিন মালদ্বীপ প্রতিনিধি>>>যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ হাই কমিশন,মালদ্বীপে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়।দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।অতঃপর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান জনাব মো: সোহেল পারভেজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজ শিরিন ফারজানা ও কল্যাণ সহকারী জনাব আল মামুন পাঠান।অতঃপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন জনাব দুলাল মাতবর ও মোহাম্মদ সোহেল রানা (সি আই পি)।দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয় এবং সবশেষে প্রধান অতিথি মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে ২১শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতির জন্য কাজ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের কথা স্মরণ করেন।সবশেষে ভাষা শহিদগনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন মদিনার জামাত মালদ্বীপ শাখার সাবেক আহবায়ক মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম।দূতাবাসের কন্সুলার সহকারী জনাব এবাদ উল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন এন বি এল লোকাল ডিরেক্টর জনাব হান্নান খান কবির, সহ সভাপতি মোঃ মনির হোসেন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ নুরে আলম রিন্টু সহ,উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিকালে হাইকমিশনের হলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের শিশুদের জন্য আলোচনা আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর হাইকমিশনারের সহধর্মিণী মিসেস নাওমী নাহরীন।অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুরা ছাড়াও ভারত, ফিলিস্তিন,মালদ্বীপ এর শিশুরা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে আগত বিদেশী অভিভাবকবৃন্দ উক্ত আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সবশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
মন্তব্য