অনুসন্ধানী প্রতিবেদক>>>
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বৈকুন্ঠ পুর চা বাগানের “গাছ চুরি ” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
জানা যায়, ২৯ মার্চ চা বাগানের ভিতর থেকে লাড্ডু নামক এক বাগান শ্রমিক একটি গাছ কেটে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগানের দুষ্কৃতকারীরা গাড়ি সহ গাছ আটক করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ সোহেল কে অবগত করেন।
চেয়ারম্যান সৈয়দ সোহেল রঘুনন্দন রেঞ্জ কর্মকর্তা খলিলুর রহমানকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে গাড়ি সহ গাছগুলো উদ্ধার করে নিকটস্থ জগদীশপুর বিট অফিসে জমা রাখেন। গাছ চুরি নাটকের মূল রহস্য উদঘাটনের তথ্যানুসন্ধান করতে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৈকুন্ঠ পুর চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন চৌহান জানান, গাছগুলো আটক করার পর গাড়ির চাবি গুদাম বাবু শাহজাহানের নিকট জমা রেখে তারা চলে যান। পরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ সোহেল কে জানালে তিনি গাড়ি সহ গাছগুলো রেঞ্জ অফিসের লোকদের বুঝিয়ে দেন। বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি গেনু কেউটে জানান,গত শনিবার বাগানের পিছনের অংশ থেকে গাছটি কাটা হয়। গাছ সহ গাড়ি আটকের পর বাগান ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিনিয়রের অনুমতিতে তিনি গাছটি লাড্ডুকে দিয়েছেন,এবং প্রহরীর উপস্থিতিতেই গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে বাগানের উপ ব্যবস্থাপক মো: মহিউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, কোম্পানির আদেশেই ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া লাড্ডুকে গাছ দিয়েছে। তাছাড়া প্রহরীর উপস্থিতিতে গাছ কাটা হয়। অন্যদিকে বাগান এরিয়ায় মধ্যেই দুষ্কৃতকারীরা গাড়িটা আটকায়, গাড়ি তো বাগানের বাইরেই যায় নি। গাছ চুরি নাটকের পেছনে রয়েছে অন্য গল্প। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও রঘুনন্দন রেঞ্জ কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১০/১২ জনের একটি দল নিয়মিত তাকে(খলিলুর রহমান কে) মামলা দায়ের করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মিডিয়া ও তাকে মামলা দায়েরের চাপ দিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বাগান থেকে চাকুরীচ্যুত ১০/১২ জনের গ্রুপটি এখন বিভিন্ন ভাবে বাগানের দুর্নাম রটাতে ঢাল হিসাবে ম্যানেজার কে ব্যবহার করছে। মহিউদ্দিনের কথার সুত্র ধরে কথা হয় ত্রয়োদিক চা শ্রমিকের সাথে, নাম না প্রকাশের শর্তে তারা প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের একটি অংশ ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া কে বাগান থেকে বিতাড়িত করার পঁয়তারা করে আসছে। আর তাদের ইন্দন দিচ্ছেন এলাকার এক প্রভাবশালী নেতা। একাধিক চা শ্রমিক বলেন, বাগানের চা গাছ কেটে ফেলা, ম্যানেজার কে জিম্মি করা, ম্যানেজারের গায়ে হাত দিয়ে অপমান করা সর্বোপরি ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়ার নামে মিথ্যা সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট এর মামলা প্রদানের কারন অনুসন্ধান করুন। কথা বলুন জেলাপ্রশাসক ইশরাত জাহান সহ সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মাইনুল ইসলাম মাইন এর সাথে অনেক কিছুই জানতে পারবেন? আপনারা প্রতিবাদ করছেন না ক্যান! জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা অসহায় তাই চোখ বুঁজে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নাই। প্রসঙ্গত পূর্ব শত্রুতার জেরে( বিভিন্ন অভিযোগে চাকুরী হারানো) বৈকুন্ঠ পুর চা বাগানে গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী শ্রমিকের বলির পাঁঠা হচ্ছেন বর্তমান ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া। তারা বিভিন্ন সময়ে বাগানের ক্ষতিসাধন করার জন্য রাতের আধারে চা গাছ কেটে বাগান সাভার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ চুরির নাটক সাজানোর পরপরই বাগানের চা গাছ রাতের আধারে কেটে ফেলা কুচক্রী মহলের আরেকটি নতুন ফাদ বলে বৈকুন্ঠ পুর চা বাগানের মালিক পক্ষ শাহ আমানত গ্রুপের মুখপাত্রের দাবি।
মন্তব্য