২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
এশিয়ান লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মৃধা ফারুকুল ইসলাম রাজবাড়ী জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামার বাড়ী যাওয়া হলো না সাফওয়ানের স্ট্রাক চাপায় মৃত্যু পেকুয়ায় ডাম্পার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১আহত ১ তানোরে হত্যা মামলায় তালিকাভুক্ত আসামী আটক ড. ইউনূস অপারগ হলে বিকল্প খুঁজে নেবে জনগণ: সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতীয় কোম্পানির ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের চুক্তি বাতিল করলো সরকার তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানালেন ডা. জুবাইদার ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে দেশে ফিরবেন পিনাকী-ইলিয়াস ও কনক! প্রধান উপদেষ্টার পাশে একটা টক্সিক সার্কেল রয়েছে’
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> বাগেরহাট
  • মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়,অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন
  • মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়,অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি>>> মোংলায় চৌরিডাঙ্গা আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সরকারি বাজেটের টাকা ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাত, প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শেখ জালাল উদ্দিন নুরীর বিরুদ্ধে ওঠা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ফুঁসে উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।সুপারের অনিয়মে প্রতিবাদে ও অপসারণ দাবীতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মাদ্রাসার মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।তবে এ সময় মাদ্রাসায় সুপার উপস্থিত ছিলেন না।যদিও গত ৫আগষ্টের পর থেকেই রহস্যজনক কারণে নিয়ম করে মাদ্রাসায় আসেন না তিনি। মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার সুপার শেখ মাওলানা জালাল উদ্দিন নুরী একজন দুর্নীতিবাজ।তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রাচীনতম এই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ৩৭জন।বছরের পর বছর ধরে তার অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হওয়ায় তিনি যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছেন।তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫টি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।সে সব অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- মাদ্রাসা সুপার জালাল উদ্দিন মাদ্রাসায় সরকারি বাজেটের পাঁচ লাখ টাকা,মাদ্রাসার জমি লিজ দেওয়ার টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের দাখিল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের টাকা ও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।এছাড়া মাদ্রাসার জালনা-দরজা, পানির ট্যাংক, গাছ বিক্রি করা ও মাদ্রাসার পুরাতন ভবনের ইট নিয়ে নিজের বাড়ীতে নিয়ে রাখাসহ পুকুরের মাছ পর্যন্ত বিক্রি করে সেই টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন।তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগসহ সুনির্দিষ্ট আরও কিছু অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার তদন্ত এসে মাদ্রাসায় সুপারকে খুঁজে পায়নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।অভিযুক্ত সুপার জালাল উদ্দিনের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্যও নিতে পারেননি তিনি।এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,এই সুপার জালাল উদ্দিন তাদের সরকারি টাকাও আত্মসাৎ করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,তাকে বেশ কিছু দিন ধরে তলব করেও তার বক্তব্য জানা যাচ্ছে না।তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন এলাকাবাসীও।তার স্বেচ্ছাচারিতার ফলে মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বারবার।এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার জালাল উদ্দিনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page