নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার।। এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ বুরদানিয়া বুশরার আকুল আবেদন হুবহু পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো।।আমি বুরদানিয়া বুশরা- মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নে বড় ডেইল গ্রামের মৌলানা মোঃ আব্দুল মালেকের মেয়ে। বিগত ২০২৩ সালে ২ ডিসেম্বরে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড়ডেইল গ্রামের বাসিন্দা মৌলানা আমানুল হকের ছেলে আরিফুল হকের সাথে বিবাহ হয়।ঐ পরিবার নিয়ে এলাকার মানুষের একটা ধারণা ছিল। কিন্তু আমরা হুজুরের দিক বিবেচনা করে সে বিষয়টা সিরিয়াস ভাবে নিনাই।কিন্তু বিয়ের পর এলাকার মানুষের ধারণাই সত্যি প্রমাণিত হলো।যা আমি বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করেছি।আমার বিবাহের ৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে দুই ভরি বাকি এবং ৩ ভরি নগদ ছিল। যা আমার শাশুড়ি আমার বিবাহের দিন রাতে নিয়ে নেয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আধা ভরি স্বর্ণ আমাকে না জানিয়ে বিক্রি করে দেয় পরবর্তী আড়াই ভরি স্বর্ণ আমার স্বামী এবং আমার শ্বশুর বিক্রি করে দেয়। আমার স্বামী আমাকে রেখে সিলেট ইসলামী ব্যাংকে চাকরিতে চলে যেত। বিবাহের পর থেকে কোন ধরনের ভরণপোষণ সে আমাকে দিত না। এদিকে আমার স্বামী সিলেট থাকাকালীন অবস্থায় আমার শাশুড়ি আমাকে নানা রকম নির্যাতন করত।বিবাহের দুই মাসের মধ্যে আমি অন্তঃসত্তা হয়ে যাই। এই সময় আমার শাশুড়ি আমাদের পরিবার থেকে কোন জিনিস দেওয়া না দেয়া এই ব্যাপার নিয়ে এবং বিভিন্ন রকম পারিবারিক বিষয় নিয়ে টর্চার করত। ঐ পরিবারের তিনজন মেয়ে বড় মেয়ে সাকিয়া কউচার যার বিষয় নিয়ে গ্রামের মানুষ আগে থেকে অবগত তার শশুর বাড়ি নাই।বাবার বাড়িতে তিন মেয়ে ও স্বামী সন্তান নিয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে কয়েকদিনের জন্য শহরে যেত।অন্যদিকে আমার স্বামী আমাকে যৌতুকের জন্য নানারকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সংসার বাঁচানোর জন্য আমি আমার বাবা-মার কাছে এই অন্যায় আবদার করতে থাকি এবং তাকে অনেক টাকা ও দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের নানা লোকের আনাগোনা ছিল যদিও বেশিরভাগ ওরা আমার শাশুড়ির বাপের বাড়ির লোকজন ছিল। বিবাহের কিছুদিন পরে আমার স্বামীর সম্পর্কে খালাতো বোনের মেয়ে নাম মিফতাহুল তসবি মাতার নাম:এস্তেফা বেগম এবং পিতার নাম: গিয়াস উদ্দিন । দুই তিনজন মেয়েকে এই মেয়ে সহ আমার শাশুড়ি প্রায় বাসায় এনে রাখত আমার স্বামী যখন সিলেট থেকে আসতে তখনই এই মেয়েকে বাসায় এনে রাখা হতো। সম্পর্কে আপন খালাতো বোনের মেয়ে হওয়ায় আমি এই মেয়েদের আসার বিষয়টা তেমন সিরিয়াস ভাবে নি নাই।আমার ডেলিভারির সময় সিজারের কারনে আমি দুই মাস আমার বোনের বাসায় ছিলাম যেখানে আমার বোনের জামাই কানাড়া থাকার কারণে আমার মা-বাবা আমার বোনের সাথে থাকে।আমার সিজারিয়ান ডেলিবারির অর্ধেক টাকা আমার মা বাবা বহন করেছে।বিগত রমজান মাসে আমার শাশুড়ি তার ছেলের লাগতেছে বলে আমার কাছে যৌতুক দাবি করে তখন আমার মা আর বোন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল তাই আমি চুপ করে ছিলাম সে কারণে ওই মহিলা আমাকে নানা রকমের খারাপ কথা বলে।এর শেষ পরিণতি হিসেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মা এবং ছেলে মিলে যৌতুকের জন্য আমার বাবার (বোনের বাসায় যেখানে মা -বাবা থাকে)বাসায় পাঠায়।আমার স্বামী যৌতুকের টাকা খুঁজতে থাকে এবং আমি যখন কিছুদিন পরে দিব বলি তখন আমার স্বামী রাগান্বিত হয়ে আমার বোনের বাসায় এসে আমার মায়ের সামনে আমার গায়ে হাত তুলে।এরপর দিন সকালবেলা আমার বোনকে একজন ফোন করে বলে তোমার বোনের জামাই আরিফুল হক আমার ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। প্রথমে আমরা বিষয়টি বিশ্বাস করি নাই পরে করে যখন ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করি সে স্বীকার করে ভাগ্নি প্রেমিকাকে নিয়ে সিলেটে অবস্থান করতেছে। এই পুরা বিষয়টিতে নাটকীয়ভাবে সহযোগিতা করেছে তার মা বো সাকিয়া কউচার এবং বোন তুহফাতুইন নাঈম টিজা।ওই মেয়েটির মা হুজুর আমানুল হকে বাসায় পুলিশ নিয়ে গেছে, থানায় জিডি করাইছে এবং মামলার এজাহার দায়ের করেছে। যদিও এই বিষয়গুলো আমার শাশুড়ি এবং ওই মেয়ের মা বাবা আগে তোকে জানতো এবং এই বিষয়টা সমাজের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য আমাদের চোখে ভালো হওয়ার জন্য একজন বিবাহিত পুরুষকে যার বর্তমান বউ বাচ্চা আছে তার সাথে কেন ওই মেয়ে পালিয়ে গেছে এই প্রশ্ন থেকে বাঁচার জন্য ঐ মেয়ের মা বাপ এসব করছে।আর এখন দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত অবৈধ ভাবে (আরিফুল হক আার তসবি) অবস্থান করার পরে আমার শাশুড়ীর ভাই সালাউদ্দিন বাবুল এবং আলাউদ্দিন মিলে ঐ প্রথম স্ত্রীর কাবিন লোকিয়ে আমার সব এই অবস্থায় রেখে মেয়ের মা বাপসহ আরো রিলেটিভস সহ নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করে নিরবতা পালন করছে। আমার বড় ডেইল সমাজের কাছে প্রশ্ন বউ বাচ্চা রেখে বিবাহের পর পরকিয়া করা এবং এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়া এই বিষয়টা সমাজ কিভাবে দেখে??বউ বাচ্চার এক পয়সা ভরণপোষণ না দিয়ে পরকিয়ায় আসক্ত ঐ নারীকে টাকা দেওয়া ও জুয়া খেলা।।আমার বাচ্চার সমস্ত ভরণপোষণ আমার মা বাবা বহণ করছে এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
বিবাহের পরকীয়া করা পুরুষকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা আমাদের ধর্মের বিধান।
এসব বিষয় গুলো নিয়ে বড় মহেশখালীর বড় ডেইলের সমাজ কি বলে??বড় ডেইলের ইমাম কি বলে?
নাকি ধর্ম বলতে শুধু কুরআন খতম এবং ওয়াজ মাহফিলে দ্বীনের কথা বলা??কিন্তু বাস্তব জীবনে এর কোন প্রতিফলন না ঘটানো। অন্যায় যে করে এবং যে সহে দুজনেই সমান অপরাধী।এরকম নোংরা পরিবেশের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমি আর আমার পরিবার যুক্ত থাকার কারণে আমার পরিবারের শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আন্তরিক ভাবে দু:খিত।এখন আমার স্বামী বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে আমার থেকে বাচ্চা নিয়ে নিবে এবং তার মা বাবা তার সবকিছুতে সাথে আছে। এই রকম নারী লোভীর সঙ্গ মা-বাবা কিভাবে দিতে পারে….? এটাই প্রশ্ন।
মন্তব্য