মিজানুর কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি>>>
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে রশি দিয়ে বেঁধে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয় টি প্রশাসনের নজরে আসলে নির্যাতিত কিশোরের অভিভাবক কে থানায় ডেকে রাতেই মামলা নেন।এদিকে ছাত্রীকে উত্যক্ত ও যুবককে মাধরের ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা হয়েছে ভূরুঙ্গামারী থানায়। এ ঘটনা ঘটেছে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে।জানা গেছে, ওই গ্রামের বৈদ্যতিক মিস্ত্রী নুরু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান শান্ত (১৭) একই গ্রামের মনসুর মেকারের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। গত ৪ জুন বিকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ভূরুঙ্গামরী সরকারী কলেজ মোড় সংলগ্ন মজনু মিয়ার বাড়ির সামনে আসা মাত্র শান্ত তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে পথরোধ করে দাড়ায়। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে বাড়ির মালিক মজনু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেন।পরদিন ৫ জুন বিকাল ৫ টার দিকে মনসুর লোকজন নিয়ে শান্তকে তুলে নিয়ে তার মোটরসাইকেল গ্যারাজে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায় শান্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশকে জানায়। পরে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় শান্তকে। রাতে শান্তকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে মনসুর। পরে শান্তকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।অপরদিকে বেঁধে মারধরের ঘটনায় শান্তর বাবা নুরু মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নূরু মিয়া জানান, আমার ছেলে অপরাধ করেছে। এর বিচার আছে আইন আছে। মনসুরসহ তার লোকজন ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যেভাবে নির্যাতন করেছে। এর জন্য আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।এদিকে স্কুলছাত্রীর বাবা মনসুর মিয়া মারধরের কথা স্বীকার করে জানান, ওই ছেলে দীর্ঘ দিন থেকে আমার মেয়েকে পথেঘাটে জ্বালাতন করে আসছে। কয়েকদফা গ্রাম্য শালিশ হলেও বন্ধ হয়নি। গত ৪ জুন আমার মেয়ের সাথে সে অশালীন আচরণ করেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা করেছি।ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে মারধরের ঘটনায় ওই যুবকের বাবা বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মন্তব্য