মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ১নং বয়া হাইরের চর এলাকায় ৪৯ জেলে নিয়ে পাঁচটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে গেছে। এরমধ্যে একটি ট্রলারসহ ৪৭ জেলে উদ্ধার হলেও চারটি ট্রলারসহ নিখোঁজ দুই জেলের তিন দিনেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।নিখোঁজ জেলেরা হলেন কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের জাকির প্যাদার ট্রলারের জেলে ফিরোজ তালুকদার ও মৌডুবির আবদুল করিমের ট্রলারের জেলে নাঈম চৌকিদার। গত বৃহস্পতিবার রাতের পৃথক সময়ে এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।কলাপাড়ার লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন জানান,২৩ জুলাই সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শেষে ১৪ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যায় লালুয়ার জাকির প্যাদার ট্রলার।বৃহস্পতিবার রাতে ট্রলারের পিছনে বসা অবস্থায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে ফিরোজ তালুকদার সাগরে পড়ে যায়।শনিবার দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ট্রলার মালিক জাকির প্যাদা।মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল জানান,তার আড়ৎতে মাছ বিক্রি করে আবদুল করিম, শাহীন মাতুব্বর, সোহরাব গাজী, রাজ্জাক মাতুব্বর ও মো. উজ্জলের পাঁচটি ট্রলার সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়।এরমধ্যে একটি ট্রলারসহ ৪৭ জেলে উদ্ধার হলেও বেল্লাল চৌকিদারের ট্রলারের জেলে নাঈম চৌকিদার নিখোঁজ রয়েছে।এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কয়েকশ ট্রলার মাছ শিকার বন্ধ করে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর ও বিভিন্ন মোহনায় আশ্রয় নিয়েছে।তবে এখনও ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ শিকার করছে কলাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজারেরও বেশি ট্রলার এমনটাই জানিয়েছেন সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারের জেলেরা।
মন্তব্য