মোঃ সজিব উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা >>> প্রেমের টানে নিজ দেশ চীন থেকে এসে সাউই (২৮) নামে এক যুবক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের ফারিয়া সুলতানা মুন নামের এক তরুণীকে বিবাহ করেছেন। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর সানোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারিয়া। গত ২০ দিন আগে সানোয়ারের নিজ বাড়িতে সাউই এবং ফারিয়ার বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফারিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ এক বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে চীনা নাগরিক সাউই-এর পরিচয় হয় ফারিয়ার। এর মধ্যে হয়ে যায় তাদের মন দেওয়া নেওয়া। অতঃপর প্রেমের টানে গত ২০ দিন আগে চীন থেকে গয়েশপুর গ্রামে আসেন সাউই। ওইদিন রাতেই পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।প্রতিবেশী সাহিনা খাতুন বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে এটি একটু ভিন্ন। কারণ বিদেশি ছেলে আর দেশি মেয়ে বিয়ে। অনেক আনন্দ ও উল্লাস করেছি সকলেই। আশেপাশের অনেকে ছুটে আসছে বিদেশি জামাইকে দেখার জন্য। ফারিয়ার বাবা বলেন, ‘মোবাইলের মাধ্যমে আমার মেয়ের সাথে চীনের ওই ছেলের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার পর ওই ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে আমাদের দেশে আসতে বলি। ছেলেটি দেশে এলে সকল আইন মেনে ধুমধাম করে তাদের বিয়ে দিয়েছি।’
ফারিয়ার মা আনজু খাতুন বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই অনেক ভালো ও শান্ত স্বভাবের। আমার মেয়েকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে।’ ফারিয়া বলেন, ‘সাউইর সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় হয়। পরে পরিবারের সকলেই তাকে পছন্দ করে। আমার পরিবার রাজি থাকায় তাকে বিয়ের বিষয়ে বলি। সাউই আমাকে কিছু ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে আমি তার কথা বুঝতে ও বলতে পারতাম। গত ২০ দিন আগে আমাদের বিয়ে হয়। জামাই হিসেবে তিনি অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেন। ভাষাগুলো শিখতে আমার আরও সময় লাগবে। আমি চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীনে নিয়ে যাবেন।’
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীনা এক যুবক তার দেশ থেকে গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। ছেলেটাকে দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে। ভিসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ছেলেটি মেয়েটিকে চীনে নিয়ে যাবেন বলে জানতে পেরেছি। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘চীনা এক নাগরিক জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন, বিয়ের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য