এস এম জহিরুল ইসলাম>>> লেখার শিরোনাম পড়ে কি পাঠক আশ্চর্য হয়েছেন এই বলে যে,লেখন এটা কি লিখল দেশে প্রতিনিয়তই কমছে সাংবাদিকের সংখ্যা।আমারা যদি একটু ভেবে দেখি ঘটনাটা আসলেই সত্য।প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমের সংখ্যা বাড়ছে।এক সময় দেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রিন্ট পত্রিকা ছিল।এর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন অনেক।সাথে যোগ হলো নিউজ পোর্টাল।এখন এর পরিধি হাতে হাতে।সরকার মালিকানাধীন শুধু মাত্র বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার ছিল।বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা সরকারি মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা।এখন সংসদ টেলিভিশন আলাদাভাবে কাজ করছে।বে- সরকারীখাতে ২/ ১ টি টেলিভিশন দিয়ে দেশে যাত্রা শুরু হইলেও এখন এর সংখ্যা অর্ধ শতাধিক।আইপি টিভি,অনলাইন টিভি এখন সংখ্যার বাহিরে অবস্থান করছে।নিউজ ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলের সংখ্যাও অনেক।প্রতিটি দৈনিক,সাপ্তাহিক,পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকা এখন শুরু করছে মাল্টিমিডিয়া ও অনলাইন ভার্ষন।সে ক্ষেত্রে অনেকে ভালই করছে।এত গণমাধ্যমের ভিড়ে আসলেই কি সাংবাদিক বাড়ছে।আমি মনে করি না।কারন সাংবাদিক পারলে সংবাদের সংখ্যাও বাড়ত।দেশে সংবাদের বিশাল ক্ষেত্র তৈরী হলেও পাঠক কি তার চাহিদা অনুযায়ী সংবাদ পাচ্ছে।আমরা কি ঘটনার অন্তরালের খবরগুলো গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারছি।গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পড়ে কি আমাদের তৃপ্তি মিঠে।আমি একজন পাঠক হিসেবে প্রতিদিন সকালে গণমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে অতৃপ্ত রয়ে যাই।একজন পাঠক যদি ১০ টি পত্রিকা পড়ে তা হলে তার চোখে কি অভিন্ন কোন সংবাদ।মনে হয় সব পত্রিকা গুলো একই সংবাদের ভান্ডার।অথচ দেশে প্রতিনিয়ত কত ভাল ভাল সংবাদ তৈরীর ঘটনা ঘটছে।অবশ্য ২/১ টি পত্রিকায় প্রশংসনীয় কিছু লেখা পাওয়া যায়। আর সে কারনেই পাঠক এখনও পত্রিকা কিনে পড়ে। ( আগামীকাল থাকবে ২য় পর্ব)
মন্তব্য