১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
অপহরণ নাটক সাজিয়ে টেকনাফে সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা পেকুয়ায় ধ্বসে যাওয়া সড়ক ট্রাকের ভারে বিচ্ছিন্ন, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবে লোকালয় ❝কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের খড়ের বাংলা ঘর❞ পেকুয়ায় সাপের কামড়ে অটো-রিকশা চালকের মৃত্যু সখিপুর  বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার  ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় শ্বশুরকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ মোংলায় ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক রাজশাহীর দূর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত  মাত্র ১৫ মাসের শিশু কুনজরে ; পুঠিয়ায় অভিযুক্ত বৃদ্ধ গ্রেপ্তার সাংবাদিক তুষার দাশের বাসায় সন্ত্রাসী হামলা: চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার তীব্র নিন্দা ও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> পটুয়াখালী
  • পটুয়াখালী গলাচিপায় রাজনৈতিক প্রভাবে ১৭ বছর অবরুদ্ধ একটি পরিবার।
  • পটুয়াখালী গলাচিপায় রাজনৈতিক প্রভাবে ১৭ বছর অবরুদ্ধ একটি পরিবার।

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> জায়গা আছে,ঘর আছে কিন্তু নেই কোন আসা-যাওয়ার পথ, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ।বসবাসের অনুপোযোগী হওয়ায় বসবাস না করার কারণে এ যেন ভূতুড়ে বাড়ি।সরেজমিনে গিয়েও ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে,ভুক্তভোগী পরিবারটি নিজের বাসা থাকতে ভাড়া বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।হ্যা এমন ঘটনাই ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লিপি বেগমের ভাগ্যে।এ বিষয়ে ভূক্তোভোগী লিপি বেগম জানান, তার নানা মৃত নুরুল ইসলাম তালুকদার হাদিস মিয়ার কাছ থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে খাদ্য গুদামের পূর্ব পার্শ্বে গলাচিপা মৌজায় জেএল-৪৯ ও ৫৮/৫৯ নম্বর দাগে ১২ শতাংশ জমি রেখে যান।তার নানার সেই সম্পত্তি থেকে ২০০৬ ইং সালে নানী,এক মামা,চার খালার কাছ থেকে ক্রয়কৃত ০.০৫ শতাংশ ও মা মৃত জহুরা বেগমের অংশসহ মোট ০.০৫৬২ শতাংশ জমির মালিক হন।জমি ক্রয়ের পরে তৎকালীন পৌর মেয়র মরহুম ওহাব খলিফা, কাউন্সিলর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে পাশ্ববর্তী জমির মালিক নেছার মেম্বরদের ১.৫০ ফুট ও নিজেদের ১.৫০ ফুট সহ মোট ৩ ফুট যৌথভাবে যাতায়াতের জন্য রেখে বাকি জমি বন্টন করে দেয়া হয়।যেহেতু সামনের অংশে তার আপন মামা আলাউদ্দিন তালুকদার পৈতৃক ভিটায় দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছিলেন তাই তাকে সামনের অংশে রেখে লিপি বেগমকে পিছনের অংশ বুঝিয়ে দেয়া হয়।এরপরে বন্টনকৃত নিজ জায়গায় লিপি বেগম একটি ঘর নির্মাণ করে।ঘর নির্মাণ করার পরক্ষণেই তার মামা আলাউদ্দিন তালুকদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাতায়াতের জন্য একমাত্র যৌথ পথটি পাঁকা দেয়াল তৈরি করে আটকে দেয়।এছাড়া পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাঁধার কারণে সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নিকট ছুটোছুটি করেও মেলেনি কোন সুরাহা।বর্তমানে তার মামা ও মামাতো ভাই মৎস্যজীবি লীগ নেতা তমাল তালুকদার নগদ ২ লাখ টাকা, ১.৫০ ফুট প্রসস্থ পথের পরিবর্তে নির্ধারিত জমি ও উক্ত পথের জায়গা রেখে পাঁকা সীমানা প্রাচীর তৈরি করে দেওয়ার দাবি করে।বাস্তবে ১.৫০ ফুট যাতায়াত পথ দিয়ে হাঁটাচলা করা অসম্ভব।অথচ সরকারি নিয়মানুযায়ী রেকর্ডীয় শরীকানা জমিতে যৌথ যাতায়াত পথ বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবে দীর্ঘ ১৭ বছর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পাননি বলে জানান লিপি।তাই তিনি মানবিকতার দিক থেকে দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার পাওয়া উচিৎ তা নিশ্চিতে বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এ বিষয়ে আলাউদ্দিন তালুকদার কাছে মুঠোফোনে জানার জন্য বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page