সাইফুল ইসলাম বাবু -বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট।
গত ১লা জুন নিখোঁজ হওয়া পূর্ণিমা রানী ঘোষের (৫০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। ৩রা জুন শনিবার সিলেট তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর মুরগাপুলের নিচে ভোরে একজন মহিলার ভেসে থাকা মরদেহ দেখতে পায় স্হানীয় পথচারীরা।খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশে উপ- পরিদর্শক মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এসে স্হানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে।প্রাথমিক অবস্হায় মৃতদেহের মুখমণ্ডল কিছুটা অর্ধগলিত ফোলা থাকায় স্হানীয় কেউ সনাক্ত করতে না পারলেও পুলিশের সহযোগিতায় নিখোঁজ পূর্ণিমার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হলে তার বড়বোন সহ অন্যান্যরা এসে মরদেহটি নিখোঁজ হওয়া পূর্ণিমার বলে সনাক্ত করেন। পূর্ণিমার বড় বোন চামেলি দে জানান, গত দুইদিন আগে বিকেলে ৩ ঘটিকা থেকে পূর্ণিমা নিখোঁজ ছিলো।অনেক খোঁজাখুঁজি ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খবর দিয়েও তাকে না পাওয়ায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় ২রা জুন তার সন্ধান চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করি।জিডি নম্বর ৬২। নিহত পূর্ণিমা রানি ঘোষ (৫০) উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কমলাবাড়ী গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন দে ও নিভা রানী দের সন্তান।আংশিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। পূর্ণিমার শ্রবণ শক্তি ছিলো না এবং মানসিকভাবেও কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ছিলো।এদিকে নিখোঁজ হওয়া পূর্ণিমা রানী ঘোষের মরদেহ উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুখ। তিনি জানান আজ ভোরে স্হানীয় সংবাদের ভিত্তিতে একজন নারীর মরদেহ পুলের নিচে পড়ে আছে এই সংবাদ পেয়ে মডেল থানা পুলিশের টিম তাকে উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি এর পিছনে কোন নাশকতা আছে সেটা অধিকতর তদন্তে কাজ করছে মডেল থানা পুলিশ।
মন্তব্য