আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক>>> চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজনের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।মৃত ব্যক্তির নাম মো. শহীদ (৪০)।তিনি চকবাজার রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা।চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার সময় নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।তিনি পেশায় মুদি দোকানি ছিল।এর আগে রাত ৮টার দিকে বহদ্দারহাটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,শনিবার রাত ৮টার দিকে একদল লোক সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হামলা চালায়।তারা বাসার ফটক ভাঙার চেষ্টা করে।এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড,কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।এর আগে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে সমাবেশ শেষ করেন বিক্ষোভকারীগণ।তাঁরা টাইগারপাস,জিইসি মোড় ও বহদ্দারহাটে সমাবেশ করেন।সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই নম্বর গেটে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।এরপরই বহদ্দারহাটে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়।তবে পুলিশ কোনো গুলি ছোড়েনি বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-অভিযান) আব্দুল মান্নান মিয়া।তিনি বলেন,“নগরীর বহদ্দারহাটে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বহদ্দারহাটে পুলিশ কোনো গুলি ছোড়েনি।বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে এবং লাঠিচার্জ করেছে।ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মন্তব্য