বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্র্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং মডেল থানাধীন চারিয়াপাড়াস্থ আবাসিক এলাকার ৫তলা ভবনের সামনে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি সিএনজিতে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য (ফেন্সিডিল) নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক ১৭২০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় পৌছালে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা কালে র্যাব সদস্যরা বর্ণিত সিএনজি থেকে আসামী মোঃ সুলতান আহম্মদ (৩৮), পিতা- মৃত আলী আহম্মদ, সাং- কদমতলী, থানা- সদরঘাট, চট্টগ্রাম মহানগর’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশীকালে সিএনজিতে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত অবস্থায় একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর থেকে তার নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতার এবং উক্ত সিএনজিটি জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামিকে উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ সে জানায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং মডেল থানাধীন চারিয়াপাড়াস্থ আবাসিক এলাকার কথিত ৫তলা বাড়ির নিচতলা পশ্চিম পাশের একটি বেড রুমে আরো বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল মজুদ রয়েছে। ধৃত আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত বেড রুমের খাটের নিচ হতে আসামির দেখানো ও নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে আরো ৫৭৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ সর্বমোট ৬১৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ধৃত আসামি আরও জানায়, সে এবং তার অপরাপর সহযোগী পরস্পর যোগসাজসে উল্লেখিত বিল্ডিংয়ের বর্ণিত রুমটি ভাড়া নিয়ে মাদকদ্রব্য মজুদ করতঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে আসছে।গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য