এম নুরনবী আহমেদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন>>> নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৭ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ হত্যাকারীদের বিচার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট জিরো পয়েন্টে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামী ।উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং পৌরসভা জামায়াতের আমীর মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী জেলা জামায়াত ইসলামির আমীর ইসহাক খন্দকার বলেন, ২০১৩সালে ১৪ ডিসেম্বর আমাদের নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে জামায়াত শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় উপজেলা মসজিদের সামনে আওয়ামীলীগের গডফাদার কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার দলবল ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অতর্কিতভাবে জামায়াত শিবিরের মিছিলে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমাদের দলের ৭জন জামায়াত শিবিরের নেতা নিহত হয়।এ গণহত্যায় ওবায়দুল কাদেরসহ আবদুল কাদের মির্জা ও থানাপুলিশের দ্রæত বিচার ও ফাঁসির দাবী করছি।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,প্রধান বক্তা ঢাকা উত্তরের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত জেলা জামাতের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামাতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান,পৌর জামাতের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সেদিন বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।সেই সময় মিছিলটি উপজেলা চত্বর পর্যন্ত আসলে পুলিশ,আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একসাথ হয়ে গুলি চালায়।ফলে ঘটনাস্থলে ৩ জন শিবির নেতা ও ৪জন জামায়াত কর্মীর মৃত্যু হয়।পরে ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী আমলি আদালতে আব্দুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।দীর্ঘ সময় পর মামলা দায়ের হলে মাত্র দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মুল আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে জামায়াত ইসলামীর নেতা কর্মীদের মধ্যে।
মন্তব্য