এম নুর নবী আহমেদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন>>> নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যুবদল নেতা এরশাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আবু সাঈদ প্রকাশ সমির খান (৪৫) নামে এক জলদস্যুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।তিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের ঘনিষ্ট সহযোগি বলে জানা গেছে।রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে কবিরহাটের ধানশালিক ইউনিয়নের জনতা বাজার থেকে সমিরকে আটক করে স্থানীয়রা।পরে সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।এ নিয়ে এরশাদ হত্যাকাণ্ডে মোট ছয়জন গ্রেফতার হলো।আবু সাঈদ প্রকাশ সমির খান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মতিন খানের ছেলে।তিনি দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামের যুবদল নেতা এরশাদ হত্যা মামলার এজাহারভু্ক্ত ৮ নম্বর আসামি। এরআগে তার ছোটভাই এ মামলার ৭ নম্বর আসামি জিয়া খানসহ (৩৮) সন্ধিগ্ধ আরও চারজনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।সন্ধিগ্ধ আসামিরা হলেন,মুছাপুর ইউনিয়নের মৃত সাইফুল হকের ছেলে মো. আজিম ভূইয়া (২১), মো. ইলিয়াসের ছেলে মো. আমির (৫৮) এবং চরফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে নূরউদ্দিন বিপ্লব (২৬) ও মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৫০)।তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।নিহত এরশাদ মাঝি।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজি মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন,আসামি সমির খানকে স্থানীয়দের হাতে আটকের খবরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।বাকি আসামিদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।মামলায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নদীতে নৌকা নামানো, খালদখল ও দোকান ভিটির দখল নিয়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে চরফকিরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি এরশাদকে (৩৯) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বিএনপি নেতা বাবর বাহিনীর কমান্ডার জলদস্যু নিজাম ডাকাত ও তার সহযোগিরা।এ ঘটনায় গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিহতের বাবা রইছল হক বাদি হয়ে নয়জনের নামোল্লেখসহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।বাদির দাবি,চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে যুবদল নেতা এরশাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
মন্তব্য