সাদেকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সবুজ শ্যামলে ভরা একটা জেলা হলো নীলফামারী। এ জেলার অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নে সাপের ন্যায় এঁকেবেঁকে চলা বাফলা বিল ঘেঁষে অবস্থিত সবুজের আচ্ছাদনে ঘেরা বাফলা নামক গ্রাম। গ্রামটির উত্তর সীমান্তে নাম করন করা হয় উত্তর বাফলা। গ্রামটির মাঝ দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে অবিলের বাজার থেকে কৈমারী বাজার যাওয়ার রাস্তা। সেই রাস্তার কোলঘেশে অবস্থান উত্তর বাফলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার পাশেই ত্রিপথে অবস্থান বিশাল আকৃতির ঐতিহ্যবাহী বট গাছ।উত্তর বাফলায় অবস্থিত সেই ঐতিহ্যবাহী বট গাছ, যার বয়স আনুমানিক ২০০ বছর।( বয়স্কদের কাছ থেকে শোনা, তারো বেশি হতে পারে)।উক্ত গাছটিকে ঘিরে লুকিয়ে আছে গ্রামের লোকজনের নানান স্মৃতি।সেখান(বাফলা) থেকে যারা বেরে উঠেছে শৈশবে সবাই সেই বটগাছে উঠেছে,লাফালাফি, ছুটলুক(গ্রামের বিশেষ এক খেলা) খেলেছে।গরমের দিন বটগাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়েছে চেনা অচেনা সব পথিক। রাস্তায় চলাচলের যানবাহন গুলোর বিশেষ স্টপেজ ছিল এই বট গাছের নিচে। বট গাছটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু দোকানপাট।বট গাছটি বহন করছিল গ্রামটির একটা বিশেষ পরিচিতি। বৃদ্ধাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সেই বট গাছটি রোপন করেছিল বাবু কিশোরি মোহন এর পিতামহ।সেখানকার স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক জনাব ভূপতি রায় বলেন, “এই গাছ কবে লাগানো হয়েছে তা সঠিক বলা মুশকিল, তবে আমি আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি কিশোরি মোহনের দাদা এখানে বট পাকোর গাছের বিয়া(হিন্দু ধর্মের বিশেষ এক পূজা)দিয়েছিল, সেই থেকে এই গাছ।”বাবু কিশোরী মোহন প্রায় ১০০ বছর বয়সে আজ থেকে ১২-১৪ বছর আগেই ইহলোকে গমন করেন।
বর্তমানে তার উত্তরসূরীরা গাছটি বিক্রি করেন।
যার কারনে গাছটি কাটা/ উত্তোলন করা হচ্ছে।ভবিষ্যতে উক্ত বট গাছটা না থাকলেও সেই জায়গার নাম উত্তর বাফলা বট তলা মোড় নামেই সবাই চিনবে এমনটাই বলছিলেন স্থানীয়রা।বাফলা গ্রামের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে সেই বট গাছের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে তারেই পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ এলাকাবাসীর।
মন্তব্য