আনোয়ার সাঈদ তিতু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি >>> কুড়িগ্রামে এক্সকাভেটর দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও বিক্ষুব্ধ জনতা এ কার্যালয় ভাঙচুর শুরু করেন রাত সোয়া ৯টার দিকে তাঁরা ভাঙচুর করে চলে যান।জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় শহরের ঘোষপাড়া শাপলা চত্বর এলাকায় অবস্থিত। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার মুখ্য সংগঠক সাদিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ নষ্ট করে শেখ মুজিবের ম্যুরাল নির্মাণ করেছে। এ দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব চিহ্ন মুছে দিয়ে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে আজকের আমাদের এ কর্মসূচি।’প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আজ বেলা দুইটা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলার নেতা-কর্মীরা জেলা পরিষদ চত্বরে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙা শুরু করেন।পরে একে একে তাঁরা উপজেলা পরিষদে ও ত্রিমোহনী বাজারে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আসেন।পরে একটি এক্সকাভেটর দিয়ে দলীয় কার্যালয়টি ভাঙচুর শুরু করেন।এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে প্রথম দফায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন ছাত্র-জনতা।এর পর থেকে আওয়ামী লীগের এ কার্যালয় পরিত্যক্ত ছিল।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ভারতে বসে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছিল।ফলে এ দেশের সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগের চিরস্থায়ী কবর দেখতে চেয়েছে। আজ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থাপনার সামনে থাকা ম্যুরাল ভেঙে দেওয়া হলো।এতে আপামর জনতার চাওয়া বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা কুড়িগ্রামের প্রতিটি জায়গায় মুজিববাদের কবর দেব।’
মন্তব্য