১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
৬৬ দফা সংস্কার প্রস্তাবের ১৬টি নিয়ে মতানৈক্য বিএনপির: সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারসহ তিন শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাহিরপুরের গড়কাটিতে ম’র্মা’ন্তি’ক দু’র্ঘ’ট’না ট্রলি ড্রাইভারের প্রা’ণ’হা’নি উন্নয়ন-বঞ্চিত তিস্তা পাড়ের লালমনিরহাটে চীনের প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন সময়ের দাবি রাবি সেন্ট্রাল অ্যালামনাইতে স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ আওয়ামী ডেভিল ইউচুপ সাতকানিয়া থানা পুলিশের জালে আটক একক ভূমি ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি ১৩টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে সদস্য নিবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নেকে হত্যা করলো মামা গ্রেফতারের ১
আন্তর্জাতিক:
চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেইনবো ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন সংকট আরাকান আর্মি! ভারতে অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ,চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বিপিএলে খুলনাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান ইতালির আয়োজনে ৫৩ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর দামেস্কে ঢুকে পড়েছেন বিদ্রোহীরা,পালিয়েছেন আসাদ বাংলাদেশিদের না পাওয়ায় ধস নেমেছে ভারতের পর্যটন ব্যবসায় কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনামে যাচ্ছে রাজশাহীর মারিন আশরাফী 
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> কৃষি >> দেশজুড়ে >> নীলফামারী >> রংপুর >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • কিশোরগঞ্জে ভিনদেশি সবজি স্কোয়াসের চাষ-সফলতার হাতছানি
  • কিশোরগঞ্জে ভিনদেশি সবজি স্কোয়াসের চাষ-সফলতার হাতছানি

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    আনোয়ার হেসেন-কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    কৃষিকে সমৃদ্ধি ও নিজেকে আত্মসাবলম্বী করতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা কৃষিতে আনছেন নানা বৈচিত্রতা।গতানুগতিক ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি ঝুঁকছেন লাভজনক ভিনদেশি ফসল আবাদের দিকে।এবার ভিনদেশি ফসল হিসেবে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা চাষ করেছেন উত্তর আমেরিকা,মালেশিয়াসহ মধ্যেপ্রাচ্যের নানা দেশের অতিপুষ্টিমান ও উচ্চমূল্যের সবজি স্কোয়াশ।স্কোয়াশ দেখতে শসার মত কুমড়া জাতীয় শীতকালিন সবজি।কৃষকরা বলছেন,এ সবজি অতিপুষ্টিকর,সুস্বাদু,স্বল্পমেয়াদি,দ্রুতবর্ধনশীল,অধিক ফলন ও লাভজনক।নতুন সবজি হিসেবে বাজারে ভোক্তার নিটক চাহিদাও বেশভাল।এতে ভাল দামে বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন।এতে অন্য কৃষকেরাও স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়,গাড়াগ্রাম ইউপির ধাইজান পাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ভ’মি অফিসের নাজিরকাম ক্যাসিয়ার সিরাজুল ইসলাম চাকরি শেষে কৃষিতে উঠে পড়ে লেগেছেন।তিনি অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এবার ৪০ শতাংশ নাবি আলুর জমিতে সাথি ফসল হিসেবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে স্কোয়াশের বীজ বুনেন।এছাড়াও একই গ্রামের আছাহাব ৩০ শতাংশ ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির তেলি পাড়া গ্রামের জিন্নুর ২০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছেন।যা কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তোলন করে বাজারে প্রতি পিচ সবজি (ফল) ২৫/৩০ টাকা দরে বিক্রি করে ভাল লাভবান হচ্ছেন।এসময় চাষি সিরাজুল বলেন,অন্য ফসল থেকে স্কোয়াশ চাষে রোগবালাই ও খরচ খুবেই কম।বীজ বপনের এক মাসের মধ্যে ফুল আসে।দেড় মাসের মাথায় ফল কাটার উপযোগী হয়।প্রতিটি গাছে ৮থেকে ১০টি ফল ধরে।দ্রুতবর্ধনশীল হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে তা তুলে বিক্রি করা যায়।প্রতিটির ওজন হয় দেড় থেকে ২ কেজি।গাছ লাগানোর প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত গাছে ফল পাওয়া যায়।রংপুরসহ স্থানীয় বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি পিচ সবজি ২৫থেকে ৩০টাকা দরে।এ দরে বিক্রি করে ৪ হাজার টাকা খরচ বাদে ইতিমধ্যে আয় হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা।আরো এরকম টাকা বিক্রির আশা করা যাচ্ছে।এ সবজি খেতে খুব সুস্বাদু।ভাজি,মাছ ও মাংসে রান্না উভয়ভাবে খাওয়া যায়।এছাড়াও হোটেল-রেস্তোরায় সবজি এবং সালাত হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা।আগামিতে আরো অধিক জমিতে চাষাবাদের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।অন্যান্য কৃষকেরাও এ সবজি চাষে একই কথা বলেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,স্কোয়াশ উচ্চ ফলনশীল কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত।যা খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু, এবং অতিপুষ্টিকর।ডায়াবেটিস,ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্যও বেশ উপকারি।বিদেশি মূল্যবান সবজি হিসেবে স্কোয়াশ এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে।যা দেখে এ এলাকার কৃষকেরাও এর আবাদ শুরু করেছেন।যা চাষাবাদ করে তারা ভাল লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বাজারে সবজির চাহিদা মিটাচ্ছেন।আর এ স্বল্পমেয়াদি ফসল উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় আয়ের পরিমান প্রায় ৬গুন বেশি।তাই আগামিতে ফসলটি বানিজ্যিকভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page