আনোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ>>নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রকৃতি জুড়ে ফুটেছে কদম ফুল।কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত।তা জানান দিচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার পহেলা আষাঢ়।মেঘবতী জলের দিন।শুরু হলো বর্ষা ঋতু।চার দিকে কদমের ফুটন্ত তিলোত্তমা রূপ বর্ষার আগমনী বার্তা বয়ে আনছে। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদে মানুষের হাঁসফাঁস করা গরমে অঝোর ধারায় বৃষ্টি-বর্ষণের জন্য প্রতীক্ষা বাসা বাঁধছে।গত মঙ্গলবার রাতে বর্ষার নবধারা জলের সঙ্গে সঙ্গে নেচে ওঠেছে প্রকৃতি ও জনজীবন।নতুন প্রাণের আনন্দে অঙ্কুরিত এখন গাছপালা ও ফসলের মাঠ।গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁক গলিয়ে গাছে গাছে কদম ফুটেছে।রিমিঝিমি বৃষ্টিতে থই থই বারিধারা।তীব্র তাপদাহে তপ্ত দেহে স্বস্তির ছোঁয়া নিয়ে হাজির হয়েছে আষাঢ়।কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। বর্ষার আগমনের আগেই হাজির হয় কদম ফুল।এ উপজেলার প্রকৃতিতে বর্ষার রূপলাবণ্য ফুটে উঠেছে। প্রকৃতিতে এনে দিয়েছে নজরকাড়া সৌন্দর্য। গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়,গ্রাম কিংবা শহরের সর্বত্রই বর্ষার কয়েক দিন আগেই নিজেদের মেলে ধরেছে আপন মহিমায় কদম ফুল।কিন্তু বাংলার প্রকৃতি থেকে কদম ফুল যেন হারিয়ে যাচ্ছে।কদমগাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। তবে এলাকার সড়কের ধারে বসতবাড়ি আনাচে-কানাচে,পুকুর পাড়ে অযত্ন অবহেলায় বেড়ে উঠা কিছু কদম গাছ চোখে পড়ে।এমন দিনে এসব জায়গার ফুটন্ত কদম ফুলের সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে।কিশোরগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম বলেন,আগে বাড়ির আঙিনায় ও রাস্তায় দু’পাশে কদম গাছ ছিল চোখে পড়ার মতো।গ্রামের দুরন্ত শিশু-কিশোরা কদম তলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করত।কিন্তু আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে। বৃষ্টিতে ভিজে সেই দুরন্তপনা শিশু-কিশোরদের কদম ফুল সংগ্রহ করা চোখে পড়েনা।উপজেলার কাঠ ব্যবসায়ী মাসুম বলেন,কদম কাঠ খুবই কম দামি হওয়ায় মানুষ আর কদম ফুলের গাছ লাগায় না।আগে দিয়াশলাই তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও এখন তেমনটা নেই।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,মানুষ লাভজনক গাছপালা রোপণের দিকে ঝুঁকছে। তবে প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যক্তি উদ্যেগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন। কদম ছাড়া বর্ষা একেবারেই বেমানান।
মন্তব্য