নিউজ ডেক্স>>> কাপ্তাইয়ে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।যে এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।সেই এলাকা কাপ্তাইয়ের লোকজন প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ভোগান্তিতে রয়েছে।আকাশে মেঘের গর্জন ও বৃষ্টি শুরু হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।এটা লোডশেডিং নয়,প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনবল সমস্যা বলে জানালেন,কাপ্তাই উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,কাপ্তাই উপজেলার যেখানে পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে সেই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। পরিতাপের বিষয় আকাশে গর্জন ও বৃষ্টি নামলেই উপজেলার অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়।প্রতিদিন দিনেরাতে ৮-৯ বার বিদ্যুৎ চলে যায়।গত ২ মাস যাবৎ কাপ্তাই উপজেলায় এভাবে বিদ্যুৎ যাতায়াতের ফলে ভেপসা গরমে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।সরকারি,বেসরকারি বিভিন্ন শিল্প,কারখানা, ব্যাংক,বীমা ও সরকারি অফিসে কাজ করতে গিয়ে উৎপাদন ব্যাহতসহ বিভিন্ন কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় ভাটা পড়েছে।কাপ্তাই আবাসিক প্রকৌশলী একেএম শামসুল আরেফিন জানান,এটা লোডশেডিং নয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বিভিন্ন এলাকায় ঢালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে।তিনি জানান,এক থেকে দেড়মাস হয় কাপ্তাই আবাসিক প্রকৌশলী বিভাগে (আর’ই) হিসাবে যোগদান করেছি।কিন্ত দুঃখের বিষয় এখনেো ঠিকভাবে অফিস করতে পারিনি।তিনি কাপ্তাই, বিলাইছড়ি,রাজস্থলী,ও জুড়াছড়ি এই ৪টি উপজেলার দেখভাল করছেন বলে জানান।সব চেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত মেরামত বা সেবা দেওয়ার মতো জনবল নেই এখানে। অন্য লোকদিয়ে কাজ করানোর মতো সে রকম আলাদা কোন বাজেটও নেই।একটি নতুন ট্রান্সমিটার সংযোগ করা হচ্ছে। তবে দ্রুত কাজ করে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্তব্য