২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
শিবগঞ্জে মরা গরু জবাইয়ের সময় দুই কসাই আটক মোংলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনকে কুপিয়ে জখম কক্সবাজার সদর মডেল থানার অভিযানে  ৪ অস্ত্রসহ ২ যুবক আটক চট্টগ্রামে হেফাজত ইসলামের কর্মসূচি ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রশাসনের চট্টগ্রামে সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভোরবেলা ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্ভোদন চকরিয়া ও পেকুয়ার শহীদ পরিবারের সাথে জেলা প্রশাসকের সাক্ষাৎ হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে বনবিভাগের সহায়তায় উঠছে দালান-কোঠা, বিপর্যস্ত পরিবেশ জেলা প্রশাসক,বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১২ সরকারি কর্মকর্তাকে আইনী নোটিশ চট্টগ্রামে এডভোকেট আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে আসামি না করায় নাখোশ আইনজীবীরা: ক্ষোভে উত্তাল আদালত প্রাঙ্গণ ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন: আহবায়ক আইয়ুব খান সদস্য সচিব এডভোকেট মুজাহিদ
  • প্রচ্ছদ
  • অর্থনীতি
  • ঋণখেলাপি বিরোধী অভিযান এবং অর্থনীতির গতি 
  • ঋণখেলাপি বিরোধী অভিযান এবং অর্থনীতির গতি 

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    <img <img

    জেমস রানা বিশ্বাস উপজেলা প্রতিনিধি,সাভার ঢাকা>>> বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ সময়ে ব্যাংক ঋণের নামে কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার হয়েছে,তা আগেই যেমন প্রকাশ ছিল এখন সেটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে।একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়,শিল্প জগতে যেসব প্রতিষ্ঠান পরিচিত নয়,সেগুলোও হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে।এরকম প্রতিটি কোম্পানিই এখন ঋণখেলাপি।এসব ছাড়াও সরকারের সময়ে সংসদ অধিবেশনে ব্যাংক খাতে শীর্ষ ৩০ ঋণখেলাপির একটি তালিকা উত্থাপনের কথা থাকলেও তা আর জনসম্মুখে আসেনি।আশ্চর্যের বিষয়,সেই তালিকায় বড়ো বড়ো ঋণখেলাপি কারও নামই অন্তর্ভুক্ত হয়নি।সংশ্লিষ্টদের মতে, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অন্যায় সুবিধা দেওয়ার কারণে বড়ো ঋণখেলাপিরা আড়ালে থেকে যান।এভাবে একই সুবিধা ব্যবহার করে বড়ো বড়ো ঋণখেলাপি বরাবরই তালিকা থেকে বের হয়ে গেছেন।অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ঋণখেলাপিদের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,অস্থিরতা কমিয়ে ব্যাংকগুলো সচল করা এবং এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।এরপর ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য ব্যাংক কমিশন গঠিত হলে ঋণখেলাপিদের বিষয়টিও আসবে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,তারা আইনের আওতায় আসবেন বলে আমরা মনে করি।আশঙ্কার কথা,এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে যত দেরি হবে সফলতার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে পড়বে।বিগত সরকারের সময়ে সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ পাচার ও খেলাপি ঋণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে,তা এখন ক্রমশ প্রকাশমান।সংকট সমাধানে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত বিশেষ কমিশন গঠন অথবা বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।একইসঙ্গে দুর্নীতিবাজদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত ও বিচারের মাধ্যমের কঠিন শান্তি নিশ্চিতের প্রক্রিয়াও দ্রুত করতে হবে।দেশ থেকে বছরের পর বছর বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হয়ে গেছে।এ অবস্থায় দুর্নীতি রোধ,সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ,অর্থ পাচারের পথগুলো চিহ্নিত করা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।আশার কথা বাংলাদেশ ব্যাংক-খেলাপি ঋণে জর্জর ব্যাংক খাতে খেলাপিদের ‘ঋণমুক্ত’ হতে দিতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে।যেখানে ঋণখেলাপিদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে।কীভাবে,কোন কোন মাধ্যম দিয়ে অর্থ পাচার হচ্ছে,তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে দরকার সেই ফাঁকগুলো বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।সকলের প্রত্যাশা অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।দেশের অর্থনীতি আবারও সচল করতে সময়পোযোগী দ্রুত ও কঠোর হতে হবে।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page