১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ: খাদে পড়ে শিশুসহ নিহত ৫, আহত অন্তত ২০ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করা হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ায় রাজনীতিবিদদের ভ্রাতৃত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ সুনামগঞ্জের বিন্নাকুলি লাউরেগর রাস্তার পাশে সেভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে মালেক বাহিনী সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ: খাদে পড়ে শিশুসহ নিহত ৫, আহত অন্তত ২০ শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ যুবলীগ নেতার নিখোঁজ ছেলের লাশ উদ্ধার নদীতে কালীগঞ্জে ছাত্রলীগ ও ক্যাসিনো সম্রাটের নাশকতার পরিকল্পনা বাংলাদেশের নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলী কৃষি কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাতকানিয়ায় শুরু হচ্ছে উপজেলা চ্যাম্পিয়নস ফুটবল টুর্নামেন্ট
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> কুড়িগ্রাম >> রংপুর >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • ইউপি চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার যোগসাজশে WFP প্রজেক্টে সীমাহীন দুর্নীতি
  • ইউপি চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার যোগসাজশে WFP প্রজেক্টে সীমাহীন দুর্নীতি

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন
    নিজস্ব প্রতিবেদক 

    কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি’র স্বেচ্ছাচারিতা সহ ব্যাপক অনিয়ম ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে পরিষদের সদস্যসহ ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে WFP অর্থায়নে RDRS-এর তত্ত্বাবধানে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ২০৬০ মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের কাজ খুবই নিম্নমানের এবং নামমাত্র বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা RDRS-এর আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানকে এই দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জনগণের অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যা পারেন করেন। অফিস ম্যানেজ মানেই সব ম্যানেজ।”একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, চেয়ারম্যানের একনায়কতান্ত্রিক আচরণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা বলেন, “দেশের ফ্যাসিস্ট শাসন শেষ হলেও আমাদের ইউনিয়নে এখনো ফ্যাসিস্ট শাসন চলমান। WFP প্রকল্পের নামে জনগণের প্রাপ্য সুবিধা লুটপাট করা হয়েছে।”বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “আমি গত টার্মে চেয়ারম্যান ছিলাম। এবার নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আসাদুজ্জামান রনি আমার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। তার লোকজনের হামলায় আমার পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে। এমনকি আমার ছোট ভাইকে হারিয়েছি। কিন্তু কোথাও সুবিচার পাইনি।”এলাকার সচেতন মহলের লোকজন জানান,তার আমলে টিআর, কাবিখা/কাবিটা, জি আর, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি, পরিষদের রাজস্ব খোযাড়-খেয়া ইজারার অর্থ, ইউপি ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে থাকেন। চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, ইউনিয়ন পরিষদে সুশাসন ফিরিয়ে আনা হোক এবং প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক।এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি’র সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছেন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের জনগণ।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page