লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : ইব্রাহিম হোসেন>>>
দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পবিত্র ঈদুল আজহা।আর মাত্র ৭-৮ দিন পরেই কোরবানির ঈদ।এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কোরবানি করা।এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরাঞ্জাম প্রস্তুতে টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে লালপুরের বিভিন্ন কামার শালা ও ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পের কারিগররা।
ভোর থেকে টানা রাত দ্বিপ্রহর পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এতে করে বিশ্রামের ন্যূনতম ফুসরত পাচ্ছেন না।বছরের এই একটি দিনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন তারা।সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় তাদের কর্মব্যস্ততা।
লালপুর উপজেলার ভেল্লাবাড়ীয়া,দুড়দুড়িয়া,বিলমাড়ীয়া,পাইকপাড়া,মোমিনপুর,সালামপুর ও কচুয়া সহ বিভিন্ন হাট বাজারের কামার পল্লীগুলো ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে,কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে
দা,বটি,চাকু,ছুরি,ও চাপাতি সহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।
লোহার হাতুড়ির টুংটাং শব্দে সরগম হয়ে উঠেছে সকল কামার পল্লী।
সবগুলো কামারের দোকানে বিদ্যুৎ চালিত শান মেশিন থাকায় অল্প সময়েই অধিক কাজ করছেন কামাররা।শান দেওয়া হচ্ছে লোহার তৈরি পুরাতন সরঞ্জামগুলোতেও।
এদিকে তৈরিকৃত এসব লোহার পণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে লালপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে,এবং বিভিন্ন দামে ছুরি,বটি,চাপাতি বিক্রি হচ্ছে সেই দোকানগুলোতে।
প্রতি পিছ চাকু ১৫০-২৫০ টাকা,দা ৫০০-৭০০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজি দরে চাপাতি,জবাই ছুরি ৯০০-১২০০টাকা এবং বটি ৪০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছে দোকানিরা।
অপরদিকে বাড়িঘরে পড়ে থাকা দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত (ভোতা)দা, ছুরি,বটিও কোরবানি উপলক্ষে শান দিতেও মানুষ নিয়ে আসছে কামার শালায়।পুরনো সকল যন্ত্রপাতি শান দিতে গুণতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।
ভেল্লাবাড়িয়া বাজারের কামার শালার অসিম ও অসিৎ কর্মকার জানান, প্রতি শনিবার ও বুধবার সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাটবার।সারা বছর টুকটাক বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের ১০-১২ দিন আগে ভালো বেচাকেনা হয়।
বিলমাড়িয়া কামারের মোড় নামক স্থানের এক কামার বলেন,কোরবানির ঈদ এখনও প্রায় ৭-৮ দিন বাকী।এখন আমরা কোরবানিতে ব্যবহৃত চাকু, ছুরি, চাপাতি ইত্যাতি তৈরি করে রাখতেছি।বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে তবে আরো ২/৩ দিন পর থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে।
মন্তব্য